দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কত বাঙালি তরুণ-তুর্কি ভ্রমণের নেশায় ছুটে গিয়েছেন পাহাড়ের কোলে। বর্তমানে পাহাড়ে ট্রেকিংয়ের নেশাও জাঁকিয়ে বসেছে যুব সমাজের মধ্যে। এবার সেই ট্রেকিংয়ে গিয়েই আর ঘরে ফেরা হল না হাবরার কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নবপল্লি এলাকার ডাক্তারি পড়ুয়া সায়ন মণ্ডলের। ছোট থেকেই এলাকায় মেধাবী ছাত্র বলে পরিচিত ছিলেন বছর বাইশের ছেলেটা। বর্তমানে আরজিকর মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষে পড়ছিলেন সায়ন। সম্প্রতি বন্ধুরা মিলে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তাতে যোগ দিয়েছিলেন সায়নও। কিন্তু, কে জানত সেখানেই ঘটে যাবে বড় বিপত্তি। আর ঘরে ফেরা হবে না হাবরায়।
সূত্রের খবর, আরজিকর মেডিকেল কলেজের তিন বন্ধুর সঙ্গে হরিদ্বার ঘুরতে গিয়েছিলেন সায়ন। গত ১২ তারিখ রওনা দিয়েছিল বাড়ি থেকে। যাত্রাপথেও কোনও সমস্যা পড়েনি। সময়মতো পৌঁছে গিয়েছিলেন গন্তব্যে। শুরু হয় ট্রেকিং। বন্ধুরা মিলে উঠে যান ব্রহ্মনাথ পাহাড়ে। কিন্তু, পাহাড়ের বেশ কিছুটা উপরে উঠতেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সায়নের। এমনই জানাচ্ছেন তাঁর বন্ধুরা। দ্রুত তাঁকে নিচে নামিয়ে আনা হয়। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। হাপাসাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সায়ন। ঘটনায় শোখের ছায়া নেমে এসেছে ওই যুবকের পরিবারে। ছেলেকে হারিয়ে কান্না ভেঙে পড়েছেন মা-বাবা। মৃত ছাত্রের দাদা অরূপ মণ্ডল বলেন, “ও আরজিকর মেডিকেলে পড়াশোনা করছিল। ও যাঁদের সঙ্গে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিল তাঁদের কাছ থেকেই আমরা প্রথম ফোনটা পাই। জানতে পারি ১৯ তারিখ বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। ১২ তারিখ ওরা হরিদ্বারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। ওর সঙ্গে আরও তিন বন্ধু ছিল। ওরা সবাই মিলে হরিদ্বার থেকে ১২ হাজার ফুট উপরে ব্রহ্মনাথ বলে একটা পাহাড়ে উঠেছিল। সেখানেই অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তার। অসুস্থ অবস্থাতেই ওখান থেকে ওকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষরক্ষা আর হয়নি।”
মৃত ছাত্রের দাদা অরূপ মণ্ডল বলেন, “ও আরজিকর মেডিকেলে পড়াশোনা করছিল। ও যাঁদের সঙ্গে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিল তাঁদের কাছ থেকেই আমরা প্রথম ফোনটা পাই। জানতে পারি ১৯ তারিখ বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। ১২ তারিখ ওরা হরিদ্বারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। ওর সঙ্গে আরও তিন বন্ধু ছিল। ওরা সবাই মিলে হরিদ্বার থেকে ১২ হাজার ফুট উপরে ব্রহ্মনাথ বলে একটা পাহাড়ে উঠেছিল। সেখানেই অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তার। অসুস্থ অবস্থাতেই ওখান থেকে ওকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষরক্ষা আর হয়নি।”