অর্পিতা বনিক, বনগাঁ: ইছামতীর শহর বনগাঁ- উৎসবের শহর বলেই জানে অনেকেই ৷ এখানে উৎসবের মরশুম শেষ হয়েও যেন হয়না শেষ। নিম্নচাপের ধাক্কা কাটিয়ে নামছে তাপমাত্রার পারদ। শীতের আমেজ এখন বাংলা জুড়ে ৷ আর সেই শীতের চাদর গায়ে জড়িয়ে বনগাঁবাসী বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে সূচনা করল উত্তর২৪পরগনা জেলা বইমেলা।
বুধবার বিকালে ৩৪তম বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। বনগাঁ পৌরসভার উদ্যোগে খেলাঘর ময়দানে ৩৪ তম উত্তর ২৪ পরগনা জেলা গ্রন্থাগার মেলার উদ্বোধনে এদিন উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিনা মন্ডল, বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ জেলা পুলিশ সুপার জয়িতা বসু, পুর প্রধান গোপালশেঠ সহ পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা ৷ দেখুন ভিডিও
গ্রন্থমেলা প্রসঙ্গে গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন উচ্চশিক্ষার ইচ্ছা আছে কিন্তু সামর্থ নেই তেমন ছাত্রছাত্রীদের জন্য কোচিং সেন্টার তৈরি করা হবে ।
মেলা চলবে আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। এনিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বনগাঁয় জেলা বইমেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এর আগে ২০১৭ ও ২০১৯ সালে বনগাঁয় জেলা বইমেলা হয়েছিল। তাতে ব্যাপক সাড়া পড়েছিল। বই বিক্রিতেও রেকর্ড গড়ে। তারই ভিত্তিতে ফের জেলা বইমেলা বনগাঁয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
একদিকে বইপ্রেমীরা, অপরদিকে বই প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত প্রায় সকলেই ইতি মধ্যেই চলে এসেছেন বই মেলা প্রাঙ্গণে। শুধু বইয়ের বিকিকিনিই নয়, বইমেলাকে কেন্দ্র করে যেন মিলনক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে গোটা এলাকা।
করোনা আতঙ্ককে কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বইপ্রেমীরা এবারের বইমেলাকে সফল করে তুলতে বদ্ধ পরিকর৷
তবে বই মেলা প্রাঙ্গণে এদিন এসে প্রথমদিন বুকস্টল গুলিতে বইপ্রেমীদের ভির ছিল চোখে পড়ার মতো ৷ তবে বই কিনতে এসে অনেকেই অভিযোগের সুরে বললেন মেলা প্রাঙ্গণে অতি জোড়ে মাইক বাজার জন্য শব্দ দূষণ হচ্ছে,যা বইপ্রেমীদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এদিনের অনুষ্ঠানের মাইককের ব্যাবহার নিয়ে৷ বইপ্রেমীদের কথায় শব্দ দূষণ হচ্ছে যা অস্বাস্থ্য কর৷