অর্পিতা বনিক, বনগাঁ: পাহাড় নাকি সমুদ্র? বেড়াতে যাওয়ার কথা উঠলে এই প্রশ্নই সবার মনে ঘুরপাক খায়৷ কিন্তু পরিবারের বয়জ্যেষ্ঠ সদস্যরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি ধর্মীয় স্থানে বেড়াতে যেতেই বেশি পছন্দ করেন৷ তাই তাঁদের জন্য কলকাতার অদূরে রয়েছে এই পীঠস্থান ৷
ইছামতী নদী, সবুজ গাছগাছালির সম্ভার৷ ওই নদী লাগোয়া বনগাঁর সাতভাই কালীতলা৷ প্রায় তিনশো বছর পেরিয়ে আজও সমান সমাদৃত ও জাগ্রত এই মন্দির৷
কথিত আছে, এই মন্দিরে অধিষ্ঠিত মা কালীর কাছে মানত করলে নাকি মনোবাসনা পূর্ণ হবেই৷ ইতিহাস বলছে, রাজবাড়িতে ডাকাতি করে কালীচরণ, কালীপ্রসাদ, কালীকিংকর, কালীপ্রসন্ন-সহ মোট সাত ভাই ইছামতী নদী পেরিয়ে ফিরছিল এপার বাংলায়৷ সেই সময় নাকি মা কালীর দেখা পায় তারা৷ দেখুন ভিডিও–
দেবীর নির্দেশ মতোই শ্মশানের পাশে ইছামতীর পাড়ে বটগাছের তলায় কালী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করে৷ সেও ছিল এক পৌষ মাসের রাত৷ সেই অনুযায়ী আজও প্রতি বছর পৌষ মাসের শনি ও মঙ্গলবার সাতভাই কালীতলায় জাঁকজমক করে পুজো হয়৷ ইতিহাসের স্মৃতি আঁকড়ে মায়ের মন্দিরে বংশ পরম্পরায় পূজার্চনা করে আসছেন পুরোহিতরা৷
এই সময় দূরদূরান্তের বহু মানুষ ভিড় জমান সাতভাই কালীতলায়৷ ইছামতী নদী পেরিয়ে নৌকা করেই মায়ের কাছে আসেন বহু ভক্ত৷ বট গাছে লাল-নীল সুতোয় ঢেলা বেঁধে মানত করেন ভক্তেরা৷ মনোবাসনা পূর্ণ হলেই পুজো দিয়ে ওই গিঁট খুলে দিয়ে যান তাঁরা৷ পৌষ মাসে ভক্ত সমাগমকে কেন্দ্র করে একেবারে উৎসব শুরু হয় মন্দির লাগোয়া এলাকায়৷ বসে মেলাও৷ তাই আর দেরি না করে একদিনের ছুটিতে আপনিও বেড়িয়ে পড়তেই পারেন সাতভাই কালীতলার উদ্দেশে৷