আপির্তা বনিক , ঠাকুর নগর: শীত এলেই নলেন গুড়, পিঠাপুলি, পিকনিক আপনা আপনি বাঙালির মনে চলে আসে ঠিক সে রকমই শীত মানেই ঠাকুরনগরের ফুল চাষ ফুলের ক্ষেত।
উত্তর চব্বিশ পরগনার মধ্যে ঠাকুরনগরের ফুল বাজারের খ্যাতি দেশে এমনকি বিদেশেও ।পশ্চিমবঙ্গে হাওড়ার পরেই ঠাকুরনগর দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ফুলের জন্য৷
ফুল ফুটলেই খুশির জোয়ার ওঠে ঠাকুরনগরের ফুল চাষীদের পরিবারে। ঠাকুরনগরের ফুল চাষ নিয়ে এবার আশাবাদী ফুল চাষীরা। দেখুন ভিডিও
শীতের মরশুমে ফুলের অপরূপ শোভা দেখতে ঠাকুর নগর আসেন বহু ফুল প্রেমী পর্যটকেরা। গ্রামের রাস্তার দুই ধারে উর্বর মাটিতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফুল ফুটিয়ে তোলেন ঠাকুরনগরেরর বিস্তীর্ণ এলাকার ফুল চাষিরা।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা ব্লক। এই ব্লকে ফুলের চাষ হয় ব্যাপক পরিমাণে। বিশেষ করে শীতকালে ঠাকুরনগরের ফুল চাষ অন্য মাত্রা এনে দেয়। রাস্তা দিয়ে দেখা যায় সারি সারি ফুলের ক্ষেত। ফুল যেমন অপরূপ শোভা বর্ধন করে তেমনি ঠাকুরনগর ফুল চাষীদের ঘরে আনে আর্থিক স্বচ্ছলতা। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের ভোর কিংবা গোধূলি জানান দেয় শীতের আগমন।
ফুল শুধু শোভা বর্ধনের জন্য নয়, ঠাকুরনগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষীদের রোজগারের এটি একটি অন্যতম মাধ্যম। তাই সবজির পাশাপাশি ফুল চাষ করে থাকেন এখানকার চাষীরা। কিন্তু গত দু’বছর করোনার কারণে ফুল চাষ থেকে ক্ষতির মুখ দেখেছিল ফুল চাষিরা। এবারে ফুল চাষীরা আশাবাদী ফুল ভারতসহ বিদেশের বাজারে রপ্তানি হবে। আর ঘরে আসবে আর্থিক স্বচ্ছলতা। বর্তমানে গাইঘাটা ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফুল চাষীরা ব্যস্ত ফুলের ক্ষেত পরিচর্যায়। ফুল চাষিরা জানিয়েছেন ডিসেম্বর মাস থেকে বাগান থেকে শুরু হবে ফুল তোলার কাজ।