দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বুধবার শপথগ্রহণ করবেন রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
একদিন আগেই মঙ্গলবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্যের ডিজিপি।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় বাংলার নতুন রাজ্যপালের বিমান অবতরণ করে। তার পরেই তিনি বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে রওনা হন। তবে তাঁর গন্তব্য রাজভবন কি না তা জানা যায়নি। সূত্রের খবর, বুধবারই বাংলার নতুন এবং স্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নেবেন আনন্দ। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করানোর কথা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের।
বাংলার নতুন রাজ্যপালকে স্বাগত জানিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘‘নতুন রাজ্যপালকে নিয়ে আমাদের অনেক আশা। ওঁর সম্পর্কে যা শুনেছি, তাতে মনে হয় উনি দারুণ কাজ করবেন। অন্যদিকে, এক সাক্ষাৎকারে আনন্দ জানিয়েছেন, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় গুরুত্ব দিয়েই কাজ করবেন।
কেরলের কোট্টায়াম জেলায় ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অবসরপ্রাপ্ত এই আইএএস অফিসার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ব্যাঙ্ককর্মী হিসেবে। সেই সময় কলকাতায় চাকরি করতেন কেরলের কোট্টায়ামের এই বাসিন্দা। পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল জানান, কলকাতা তাঁর প্রিয় এবং ভাল লাগার শহর। এমনকি, রসগোল্লা খেতে ভালবাসেন তিনি।
বাংলার কথা বলতে গিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। সিভি আনন্দ জানান, নেতাজির প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার কারণেই বোস পদবি ব্যবহার করেন তিনি ও তাঁর পরিবার।
জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকার সময় রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত ছিল তুঙ্গে। তিনি উপরাষ্ট্রপতি হওয়ায় বাংলার অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাছিলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল লা গণেশন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১৯৭৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার এবং অবসপ্রাপ্ত আমলা সিভি আনন্দ বোসকে বাংলার রাজ্যপাল নিয়োগ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার পর কি রাজভবন ও নবান্নের সমীকরণ বদলাবে? ইতিমধ্যে সেই প্রশ্নই ঘোরা ফেরা করছে করছে রাজনৈতিক মহলে।