দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ১৯৫১ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে পরের বছর ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলেছিল দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সেই নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন বছর ৩১-এর যুবক শ্যাম শরণ নেগি। হিমাচল প্রদেশের কিন্নরের সেই বাসিন্দা প্রথমদিনই ভোটদান করেছিলেন। আর শেষ ভোট দিয়েছেন গত পরশু। সেটা হিমাচলপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট। বয়সের কারণে শ্যাম শরণের বাড়িতে গিয়ে আগাম পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। রাত গড়াতে চলে গেলেন মানুষটি। বয়স হয়েছিল ১০৬ বছর।
গত পরশুই নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা অসুস্থ শ্যাম শরণের বাড়িতে গিয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন বছর দুই আগে সিদ্ধান্ত নেয়, আশির বেশি বয়সি ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে কমিশনের লোকেরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করবে। এজন্য কমিশনের কাছে বয়সের প্রমাণপত্র-সহ দরখাস্ত করতে হয়। ১০৬ বছর বয়সি শ্যামের দরখাস্ত পেয়ে অবাক হননি কমিশন কর্তারা। কারণ, প্রথম সাধারণ নির্বাচন থেকে শুরু করে কোনও ভোটে গরহাজির থাকেননি শ্যাম।
নেগির জন্ম ১৯১৭-র ১ জুলাই। পেশায় ছিলেন স্কুল শিক্ষক। আবহাওয়ার কারণে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে হিমালয়ের পাদদেশের সব রাজ্যেই কমিশন পাঁচ দফায় ভোট নিয়েছিল। বরফ পড়ার আগেই কিন্নর এলাকায় ভোট নেওয়া হয়। হিন্দি সিনেমা সনম রে-তে একটি বিশেষ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শ্যাম।
কিন্নরের জেলা শাসক আবিদ হুসেন জানিয়েছেন, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর অন্তেষ্টি সম্পন্ন করা হবে। এটা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত। সেই মতো রাজ্য ও জেলা প্রশাসন পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সব ধরনের আয়োজন করছে। প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা সকলে উপস্থিত থাকবেন অন্তেষ্টির সময়।
পরশু বাড়িতে ভোট নেওয়ার সময়ও কমিশনের তরফে বিশেষ সম্মানজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শোয়ার ঘর থেকে পাশে ঘরে তাঁকে ধরে ধরে হাঁটিয়ে নিয়ে আসা হয় লাল গালিচার উপর দিয়ে। কমিশন কর্তাদের বক্তব্য, ভোটদানে মানুষকে উৎসাহী করে তুলতে এই মানুষেরাই কমিশনের আসল অ্যাম্বাসাডর।