দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নাম সুপারিশ করলেন দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত।
৯ নভেম্বর অবসর নেবেন ললিত। ইতিমধ্যেই সুপারিশের চিঠি প্রধান বিচারপতি হস্তান্তর করেছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক গত ৭ অক্টোবর প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছিল। অনুরোধ করা হয়েছিল, নয়া বিচারপতির নাম সুপারিশ করতে। দেশের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। দু’বছর তিনি প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন। তাঁর অবসর ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর।
এদিকে, শীর্ষ আদালতের চার বিচারপতির শূন্যপদ পূরণের প্রক্রিয়া বন্ধ রাখল পাঁচ শীর্ষ বিচারপতির কলেজিয়াম। ফলে প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন কলেজিয়াম আর ওই চার শূন্যপদ পূরণে পদক্ষেপ করবে না। ৯ নভেম্বর অবসর নেবেন প্রধান বিচারপতি ললিত। তারপর প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন কলেজিয়াম এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
কেন্দ্রীয় সরকার বিচারপতি ললিতের প্রস্তাব গ্রহণ করলে দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ হবে ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে দু’বছরেরও বেশি সময় দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব সামলাবেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়, যা সাম্প্রতিক অতীতে প্রধান বিচারপতির পদে অন্যতম দীর্ঘ কার্যকাল বলে বিবেচিত হবে।
দেশের ১৬তম প্রধান বিচারপতি ছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বাবা বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ ছিল ১৯৭৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮৫ সালের ১১ জুলাই।
উদার এবং প্রগতিশীল রায়দানের জন্য বিখ্যাত বিচারপতি চন্দ্রচূড়। সাম্প্রতিককালে তাঁর ঘোষণা করা কিছু রায়কে যুগান্তকারী আখ্যা দিলেও অত্যুক্তি হবে না। কিছুদিন আগেই অবিবাহিতা মহিলাদের ক্ষেত্রেও বিবাহিতা মহিলাদের মতোই গর্ভাবস্থার ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাতের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন তিনি।
এছাড়া, যে সাংবিধানিক বেঞ্চ সমলিঙ্গের মানুষদের মধ্যে সম্মতিক্রমে যৌনতাকে অপরাধের তালিকা থেকে মুক্তি দেয়, এবং আর্টিকেল ২১ এর অধীনে গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলে ঘোষণা করে, তার অন্যতম সদস্য ছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। এছাড়া ব্যাভিচারকেও অপরাধ নয় বলে ঘোষণা করে বিচারপতি চন্দ্রচূড় ও অন্যান্যদের বেঞ্চ।
কেরলের শবরীমালা মন্দিরে সব বয়সি মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়ও। এছাড়া অযোধ্যা-বাবরি মসজিদের মামলার রায় ঘোষণা করে যে সাংবিধানিক বেঞ্চ, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় তারও অন্যতম প্রধান সদস্য ছিলেন।