দেশের সময়: যে অর্জুন সিং এক সময় তৃণমূলের সম্পদ ছিল এখন সে ই তৃণমূলের এক প্রকার মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। শুক্রবার ঠাকুরনগরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এর উত্তর থেকে তা অনেকটা স্পষ্ট। এদিন ঠাকুরনগরে দলের বনগাঁ কেন্দ্রের প্রার্থী মমতা ঠাকুর কে পাশে নিয়ে সাত বিধানসভার নেতাদের ভোটের ফর্মুলা বোঝালেন জ্যোতিপ্রিয় ।
কিভাবে ভোটের প্রচার করতে হবে, ভোটারদের কিভাবে ভোট কেন্দ্র মুখী করে নিজেদের পক্ষে সেই ভোট টানতে হবে তারই বেশ কিছু টিপস দেন। নেতারা জানান ইতিমধ্যেই দেয়াল লিখনের কাজ প্রায় শেষ । আর দু-একদিনের মধ্যে বাকি অংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে । আর আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার থেকে প্রার্থী প্রচার শুরু করবেন। প্রত্যেকটা বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী নির্দিষ্ট দিন ধরে প্রচারের কাজে উপস্থিত থাকবেন। ইচ্ছে মত প্রার্থীকে প্রচারের কাজে ব্যবহার করা যাবে না ।
দলের অনুমতি নিয়েই সেই কাজ করতে হবে বলে স্পষ্ট জানান জেলা সভাপতি । তিনি স্পষ্টতই এ দিন জানান যারা দল থেকে বেরিয়ে গেছেন তারা ভোটের পরে বুঝতে পারবেন কত বড় ভুল করেছেন। তখন আফসোস করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। চোখ দিয়ে জল ফেলতে হবে। দলে ফেরার চেষ্টা করলেও দল তখন তাদেরকে নেবে কি না ভাবা হবে । রাজ্যের ২৮ টি কেন্দ্রে বিজেপি যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে সে সম্পর্কে জ্যোতিপ্রিয়র মন্তব্য এদের মধ্যে একজনও জিতবে বলে মনে হয় না।
আর বনগাঁ কেন্দ্রে যত বড় প্রার্থী দিক না কেন আমরা ১০০% জিতছি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী আসলেও জিততে পারবেন না। আমাদের কর্মীরা সেই ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। মমতা ব্যানার্জি দুমাস আগের থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। যার জন্য অনেক আগেই আমাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়ে গেছে। প্রচারের কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। এদিক থেকে আমরা সবার থেকে এগিয়ে । দলত্যাগী তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিং এর ব্যাপারে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বেশ ক্ষুব্ধ ।
তিনি অভিযোগ করেন অর্জুন সিং পৌরসভা এবং সমবায় যেভাবে চালাচ্ছেন তাতে মনে হচ্ছে সেটা তার পৈত্রিক সম্পত্তি। তার মনে রাখা উচিত এই দুটি সংস্থাই় চলে রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে। তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে ইতিমধ্যেই দলের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর ফিরহাদ হাকিম এর কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে । দল এ ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে।