দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের উন্নয়নে কাজের অগ্রগতি কেমন? কোন দফতরে কেমন কাজ হচ্ছে? নাগরিক পরিষেবা চালু রাখতে আর কী কী করা উচিৎ? সবকিছু নিয়েই এবার প্রশাসনিক বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রাজ্যের সমস্ত দফতরের সচিব ও জেলা শাসকদের নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। থাকবেন দফতরের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরাও।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর এই বৈঠক হবে। সমস্ত জেলা শাসকেরা ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন ওই বৈঠকে। বৈঠকের আগে সব দফতরের সচিবদের থেকে কাজের খতিয়ানের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে নবান্নের তরফে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই ওইদিন বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই রাজ্যে হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ ঠিক তার আগেই এই বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এমনিতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই অস্বস্তিতে রয়েছে শাসক দল। দাগ পড়েছে দলের ভাবমূর্তিতেও।
তৃণমূল সূত্রে খবর, এই পরিস্থিতিতে কোনওভাবে উন্নয়নের কাজে গাফিলতি চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, কদিন আগেই নবান্ন থেকে জেলা প্রশাসনকে পষ্টাপষ্টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, পঞ্চায়েতে সমস্ত ভুয়ো খরচের হিসাব বের করতে হবে। প্রয়োজনে এফআইআর দায়ের করে সেই টাকা উদ্ধারও করতে হবে। সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলে এসেছেন, কেন্দ্র সরকার রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। জিএসটি বাবদ যেমন টাকা বাকি তেমনই কেন্দ্রীয় প্রকল্প যেমন ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনাতেও টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র।
রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য এমন কথাও বারেবারে বলতে শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রীকে। এমন পরিস্থিতিতে নাগরিক পরিষেবা চালু রাখতে কী করা যায় সেই নিয়ে সাত তারিখের বৈঠকে আলোচনা করবেন মমতা।
আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন পঞ্চায়েতের ১ লক্ষ টাকার কাজেও এবার ই-টেন্ডার ডাকতে হবে। দুর্নীতি এড়াতে বিগত কয়েকদিনে প্রশাসনিক স্তরে বেশকয়েকটি কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সার্বিকভাবে দেখতে গেলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে একটা স্পষ্ট নকশা ধরে এগোতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, আগামী ৮ সেপ্টম্বর দলের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মিটিং করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই মিটিংয়ের আগে ৭ তারিখের এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই।