অর্পিতা বনিক, বনগাঁ: হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপই দেশজুড়ে ধুমধাম করে শুরু হবে এবারের গণেশ চতুর্থী উৎসব৷ সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো উপলক্ষে প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে ৷
মহারাষ্ট্রের এটি প্রধান পুজো। গণেশের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষও নতুন সাজপোশাকে অংশ নেন এই উৎসবে। মহারাষ্ট্র ছাড়াও, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ ছাড়াও, কর্ণাটক, গুজরাত, ওড়িশা, গোয়া, ছত্তীসগঢ়, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে মহাসমারোহে পালিত হয় গণেশ চতুর্থী। এখন পশ্চিমবঙ্গেরও বিভিন্ন জায়গায় হয় গণেশ পুজো। বাদ যায় না বনগাঁ শহরও৷
সামনেই চতুর্থী, বৃষ্টির মধ্যেই বনগাঁর কুমোরপাড়ায় চলছে গণেশ প্রতিমার চূড়ান্ত প্রস্তুতি। ওয়ার্কশপ থেকে একে একে মূর্তি রওনা দিচ্ছে মণ্ডপে। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে মূর্তি মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে প্লাস্টিকে। দেখুন ভিডিও:
নানা রঙের গণেশ শোভা পাচ্ছে পটুয়াপাড়ায়।প্রতিমা শিল্পী সেন্টু ভট্টাচার্য জানান, বড় গণেশের দাম ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। আরও বেশি দামের মূর্তিও পাওয়া যাচ্ছে । শিল্পীদের কথায়,এই বছর বারোয়ারি পুজোয় বড় মূর্তির চাহিদা একটু কম। ঝোঁক বেড়েছে ছোট মূর্তি কেনার।
২০০-৫০০ টাকার মূর্তিও মিলছে যথেষ্ট।
এক প্রবীণ প্রতিমাশিল্পী জানালেন, গতবছরের তুলনায় অবশ্য এই বছর মূর্তির চাহিদা বেশি। এবছর দুর্গাপুজোয় খুব একটা ক্ষতির সম্মুখীন হবে না প্রতিমাশিল্পীরা, বলেই ধারণা অনেকের।
পাশাপাশি দূর্গা পূজোরও আর বেশি দিন বাকিনেই,গণেশ মূর্তির সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয়েছে মা দুর্গার ছোট ছোট প্রতিমাও, যা খুব শিগগিরি পাড়ি দেবে দূরে কোথাও।
গণেশের পাশাপাশিই চলছে দুর্গা প্রতিমাতে মাটির প্রলেপ দেওয়ার কাজও।
এই বছর গণেশ চতুর্থীর সময় পড়েছে ৩১ অগাস্ট বুধবার। গণেশ পুজো চলে দুই থেকে দশ দিন। তারপর ১১ দিনের মাথায় শোভাযাত্রা করে মূর্তি নিয়ে গিয়ে জলে বিসর্জন দেওয়া হয়। এ রাজ্যে গত কয়েক বছরে অনেকটাই বেড়েছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্যাণ্ডেল বেঁধে গণপতি বাপ্পার পুজোর প্রচলন পশ্চিম ভারতের মতো শুরু হয়েছে এই বাংলাতেও।