দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গরু ও কয়লা পাচার মামলায় বসিরহাটের ব্যবসায়ী আবদুল বারিক বিশ্বাসের নাম ছিল সিবিআই ও ইডির খাতায়। এর আগে বসিরহাটে বরিকের বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছিল সিবিআই। এবার কয়লা কাণ্ডেই এনামুল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বারিক বিশ্বাসকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি।
শুক্রবার কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয় বারিককে। পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়া থানার মামলায় এদিন তাকে গ্রেফতার করেন ভবানী ভবনের দুঁদে অফিসাররা। শুক্রবার বারিক বিশ্বাসকে আসানসোল আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে দশ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। তারপর বারিককে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ভবানী ভবনে।
জামুড়িয়ায় বারিকের একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা রয়েছে। সেই কারখানাকে ব্যবহার করেই বারিক বেআইনি কয়লা পাচারের সাম্রাজ্য চালাত বলে অভিযোগ। গত সপ্তাহে এই মামলায় সিআইডি পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই বারিকের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা।
এই ব্যক্তি বসিরহাটের দাপুটে ব্যবসায়ী। অনেকে বলেন, বাংলায় যে দলই সরকার চালাক বারিক তাদের লোক হয়ে যায়। এর আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে জানা গিয়েছিল, বারিকই সেই ব্যক্তি যে পাচারকারীদের সঙ্গে পুলিশ, রাজনৈতিক নেতাদের সেতুবন্ধন করিয়ে দিত। বিএসএফের সঙ্গেও বারিকের সম্পর্ক মসৃণ বলে শোনা যায়। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, গরু কাণ্ডে ধৃত বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারকে জেরা করেও বারিকের নাম উঠে এসেছে।চোদ্দ সালে সোনা পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল বারিক বিশ্বাসকে।
কয়লা কাণ্ডে কেন্দ্রীয় এজেন্সি রাজ্যের প্রভাবশালীদের ডাকাডাকি করছে। সেই তালিকায় এক মন্ত্রীও রয়েছেন। এ হেন পরিস্থিতিতে সিআইডির এই তৎপরতা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।
কেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেপ্তার করেনি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।