দেশের সময়, বনগাঁ: পাট ক্ষেতের মধ্যে তুলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ।
উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানা এলাকার ঘটনা। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ গত ১১ জুলাই অর্থাৎ সোমবার রাত্রিবেলা বছর ষোলোর ওই নাবালিকা মায়ের ওষুধ কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় আচমকাই তার পথ আটকায় এক যুবক। অভিযোগ, তারপর জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে পাটক্ষেতের মধ্যে বুকে পা তুলে ধর্ষণ করে তাকে।
এরপর ওইদিন রাত্রিবেলা ন’টার সময় বাড়ি ফেরে নির্যাতিতা। কাঁদতে-কাঁদতে গোটা বিষয়টি তাঁর মা-কে জানায়। মেয়েটির মা দাবি করেছেন, অভিযুক্তর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না মেয়েটির। ফলে অভিযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন করেছেন তিনি।
দু’দিন হয়ে যাওয়ার পরও অধরা অভিযুক্তরা। এই ঘটনার পরে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি।
যদিও, এই বিষয়ে অভিযুক্ত যুবকের বাবা দাবি করেছেন, ‘ছেলে কী করেছে আমাদের জানা নেই।আমরা জানতে পেরেছি ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ হয়েছে।ছেলে বাড়িতে নেই। ঘটনা সত্যি না মিথ্যা আমাদের জানা নেই।পুলিশ বাড়িতে এসেছিল ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে বলে গিয়েছে।’
ঘটনার পর বুধবার সকালে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি রামপদ দাস। নির্যাতিতার মাকে তিনি আস্বস্ত করেন ন্যায় বিচারের। তিনি বলেন, ‘আমরা খবর পেলাম গাইঘাটা থানা এলাকায় জোর পূর্বক এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সেখানে এসে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারের তরফে জানতে পেরেছি মেয়েটির মেডিক্যাল টেস্ট হয়েছে।’
পাশাপাশি গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোবিন্দ দাস বলেন, ‘অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা অভিযুক্ত গ্রেপ্তারের দাবি তুলছি আমরাও। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমরা আবেদন করব যত দ্রুত সম্ভব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হোক । যত বড় প্রভাবশালী হোক যদি গ্রেফতার না করা হয় তাহলে যে ধরনের আন্দোলনে যেতে হয় আমরা যাবো। অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।