দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ ভাটপাড়ার দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল বিধায়ক যে বিজেপি-তে যাচ্ছেন, এ কথা আগেই লেখা হয়েছিল দেশের সময় -এ। গত মঙ্গলবারই গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু পাকা কথা দিয়েও আরও ২৪ ঘন্টা সময় চেয়ে নিয়েছিলেন অর্জুন সিংহ। অপেক্ষা করেছিলেন, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি শেষ মুহূর্তে মত বদলে তাঁকে ব্যারাকপুর লোকসভায় প্রার্থী করেন। তা যখন হয়নি, আর পিছনে তাকালেন না তিনি। বুধবার রাতেই দলবল নিয়ে দিল্লি চলে যান উত্তর চব্বিশ পরগণার এই বাহুবলী নেতা।
অনেক রাত পর্যন্ত তাঁর লম্বা মিটিং বৈঠক হয় মুকুল রায়ের সঙ্গে। ঠিক হয়ে যায় বৃহস্পতিবার দুপুরেই বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন তিনি।
বিজেপি যে প্রভাবশালী এই নেতাকে ব্যারাকপুরে প্রার্থী করবে তা এক রকম পরিষ্কার। ফলে শিল্পাঞ্চলের এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর লড়াইটা যে কঠিন হয়ে গেল এ ব্যাপারে সন্দেহের অবকাশ নেই।
গত কয়েক বছরে অর্জুনের প্রভাব বেড়েছে। তাঁর অনুগামীদের মতে অর্জুনই ব্যারাকপুরের যোগ্য প্রার্থী। ‘বহিরাগত’ দীনেশ ত্রিবেদীকে বারবার জেতানো নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহল ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন অর্জুন। এ বার ভেবেছিলেন দিদি তাঁকে প্রার্থী করবেন। সোমবার নবান্নে অর্জুন এবং দীনেশকে ডেকে কথাও বলেন মমতা। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। প্রার্থী ঘোষণার দিনও দিদির বাড়ি গিয়েছিলেন অর্জুন। কয়েকদিন আগেই অর্জুনকে মমতা জানিয়েছিলেন, “এ বার ব্যারাকপুরে দীনেশদাকেই প্রার্থী করব।
অন্তর্ঘাত করিস না।” জবাবে অর্জুন বলেন, “বিরোধিতা করতে হলে বাইরে গিয়ে করব। অন্তর্ঘাত করব না দিদি।” কথা মতোই বাইরেই চলে গেলেন অর্জুন।
অর্জুন সিং দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতা। ৯৯ এবং ২০০৪ সালে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়াইও করেছিলেন। ৯৯ সালে তৃণমূল-বিজেপি জোটের প্রার্থী হয়ে সিপিএমের তৎকালীন ডাকাবুকো নেতা তড়িৎবরণ তোপদারের কাছে মাত্র চল্লিশ হাজার ভোটে হেরেছিলেন অর্জুন।এখন স্বভূমিতে অর্জুনের লখ্য ভেদ দেখার অপেক্ষায় সাধারন মানুষ৷