দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: একাধিক রাজ্যের জনমোহিনী প্রকল্পের ফলে রাজ্যের কোষাগারের দশা বেহাল হতে পারে। যার ফলে ভারতের অবস্থাও হতে পারে শ্রীলঙ্কার মতো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের সচিবরা এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সচিবদের কথায়, কিছু রাজ্য সরকার যেভাবে আমজনতার মন জিততে টাকা খরচ করছে, তাতে অনেকের হাল শ্রীলঙ্কা বা গ্রিসের মতো হতে পারে।
ওই বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব পিকে মিশ্র ও ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা উপস্থিত ছিলেন। সরকারি সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও পাঞ্জাব, দিল্লি, তেলঙ্গনা, অন্ধ্রপ্রদেশের কোষাগারের হাল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সচিবরা উদ্বিগ্ন।
ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলি বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাসের মতো প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করছে। এরপর সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়ে রাজ্যের বাজেটে চাপ পড়ছে। তবে এটাও ঘটনা, বিজেপিও উত্তরপ্রদেশ, গোয়ার মতো রাজ্যে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ ও নানা জনমোহিনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ভোটের আগে।
তার জন্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির কোষাগারে কত চাপ পড়বে, তা নিয়ে কেন্দ্রের সচিবরা প্রধানমন্ত্রীর সামনে কিছু বলেছেন কিনা তা জানা যায়নি। সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ রামগোপাল যাদবের বক্তব্য, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের হাতেই সরকারি কর্মীদের বেতন দেওয়ার টাকা নেই।
শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি জাতীয় স্তরেই হতে পারে। খাদ্য নিগমের ভর্তুকি বাবদ ৪.২৭ লক্ষ কোটি টাকা দু’বছর ধরে বকেয়া পড়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারেরই দেউলিয়া অবস্থা।’ আবার এটাও ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে একাধিক জনমোহিনী প্রকল্পের ফলে বাজেটের উপরেও চাপ বেড়েছে।
রাজ্যের বাজেট অনুযায়ী, অর্থ বছরের শেষে রাজ্যের ঘাড়ে ঋণের বোঝা ৫.৮৬ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছবে। উপদেষ্টা সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চ জানিয়েছে, চলতি অর্থ বছরের শেষে পশ্চিমবঙ্গের রাজকোষ ঘাটতি ৩ শতাংশে বাঁধা থাকবে। যা পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ঊর্ধ্বসীমার মধ্যে। কেন্দ্রীয় সরকারও ৪ শতাংশ ঘাটতি রাখতে সম্মতি দিয়েছে।