দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বর্ধমানে একটি চাল কল কিনেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী আদানি গ্রুপ । তাদের আদানি ওয়ালমার লিমিটেড যে চালকলটি কিনেছে সেটি দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। ব্যাঙ্কে মোটা টাকা ধার।
এমন একটি চালকল কেন আদানিদের মতো বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী কিনল? সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এটা হল বাংলার কৃষকদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের প্রাথমিক উদ্যোগ। আমরা চালকলটির আশপাশের এলাকার কৃষকের ধান সহ বিভিন্ন ফসলের চালু ভ্যারাইটি গুলির চাষে সহায়তা করতে চাই।
বাম কৃষক সংগঠনগুলির একাংশ বলার চেষ্টা করছে, আদানিরা ২০টি চাল কল কিনেছে। এইভাবে বাংলার কৃষিতে বিগ কর্পোরেটকে জায়গা করে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোাধ্যায়ের সরকার। যিনি কৃষককে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোদী সরকারের তিন কৃষি বিলের বিরোধিতা করেছেন।
কিন্তু আদানি গোষ্ঠী জানিয়েছে, এমন কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। তারা একটিমাত্র বন্ধ চালকল কিনেছে।
প্রসঙ্গত, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। উদ্দেশ্য ছিল, রাজ্যের নানা প্রান্তে তাদের দিয়ে কৃষি বিপণন পরিকাঠামো গড়ে তোলা। যাতে উৎপাদিত ফসল রিলায়েন্স কিনে নিয়ে তাদের হিমঘরে সংরক্ষণ করে দেশ বিদেশে রফতানি করতে পারে।
আম্বানিদের দাবি মেনে জমির ঊর্ধসীমায় ছাড় দিতেও উদ্যোগী হন তিনি। কিন্তু নিজের দল ও বামফ্রন্ট শরিকদের বাধায় এগোতে পারেননি।
গুজরাতের নামজাদা শিল্প গোষ্ঠী গৌতম আদানির আদানি ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প নিয়ে আলোচনা চলছে। দেউচা পাঁচামির কয়লাখনি প্রকল্প নিয়েও প্রাথমিক কথা হয়েছে বলে খবর। সবই স্পষ্ট হবে আগামী মাসে রাজ্যের শীর্ষ শিল্প সম্মেলন বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে।