দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শেষ পর্যন্ত চাণক্যর বুথ ফেরত সমীক্ষাই সত্যি প্রমাণিত হল। পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টি শুধু জিতছেই না, এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড তাতে দিল্লির অনতিদূরে এই রাজ্যে স্যুইপ করতে চলেছে আপ।
পাঞ্জাব বিধানসভায় মোট ১১৭ টি আসন রয়েছে। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৫৯ জন বিধায়ক। কিন্তু সকাল সাড়ে দশটার যা ট্রেন্ড তাতে দেখা যাচ্ছে পাঞ্জাবে ঝাড়ু ঝড়! পাঞ্জাবে ‘হাত সাফাই’, ৮৮টি আসনে এগিয়ে আম আদমি পার্টি, মাত্র ১৩টিতে এগিয়ে কংগ্রেস, ১০টি আসনে এগিয়ে শিরোমণি অকালি দল, বিজেপি এগিয়ে ৫টি আসনে, একটিতে অন্যান্যরা এগিয়ে
একদা স্ট্যান্ড কমেডিয়ান তথা লোকসভার সাংসদ ভগবত মানকে পাঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী করেছে আপ। ইতিমধ্যেই চণ্ডীগড়ে ভগবত মানের বাড়ির সামনে উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। উৎসব চলছে দিল্লিতেও, যেখানে গত দশ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন কেজরিওয়াল।
প্রসঙ্গত, গত পরশু বুথ ফেরত সমীক্ষা করে চাণক্য জানিয়েছিল, পাঞ্জাবে ল্যান্ডস্লাইড জয় হতে পারে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির। পাঞ্জাব বিধানসভায় মোট ১১৭ টি আসন রয়েছে। চাণক্যর মতে, সেখানে ১০০ টি আসন জিতে যেতে পারে আপ। বর্তমানে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস জিততে পারে মাত্র ১০ টি আসন। আর বিজেপি মাত্র ১ টি আসনে জিততে পারে। বস্তুত প্রায় সেটাই হতে চলেছে মনে করা হচ্ছে।
পাঞ্জাবে আপের এই উত্থান সর্বভারতীয় রাজনীতিতেও কম অর্থবহ নয়। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, কংগ্রেসের জনভিত্তি ক্রমশ দুর্বল ও ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ছে। সেই শূণ্যস্থান দখল করছেন কেজরিওয়াল বা তাঁর মতোই আঞ্চলিক নেতারা। আপকে কেবল এখন আর তাই দিল্লির পার্টি বলা যাবে না। বরং এই ফলাফলের পর দেওয়াল লিখন পরিষ্কার। তা হল, এ বার অন্য রাজ্যেও শাখা ছড়ানোর বেশি করে চেষ্টা করবেন কেজরিওয়াল।