দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ কলকাতা পুরভোটের রেশ কাটতে না কাটতেই রাজ্যে আবারও ভোট। রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতে ভোট সংঘটিত হবে কবে, সেই প্রশ্ন বেশ কিছুদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছিল।
আজ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানাবে কবে ভোট হবে বাকি ১১১ পুরসভায়। কমিশন সূত্রে খবর, হলফনামায় জানানো হচ্ছে দু’দিনে বাকি পুরসভার ভোট করতে চায় তারা।
কোন দু’দিন?
বৃহস্পতিবার আদালতে পরবর্তী ভোটের পরিকল্পনার কথাই জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, বকেয়া ১১০টি পুরসভায় দু’দফায় ভোট হবে। ২২ জানুয়ারি প্রথম দফায় ভোট হবে। দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। প্রথম দফায় হাওড়া, চন্দননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল, বিধাননগরে ভোট হবে। বাকি সবকটি পুরসভায় ভোট হবে দ্বিতীয় দফায়। এদিন হাইকোর্টে এমনটাই জানিয়েছে ৷
বাকি পুরসভায় কবে ভোট হবে, সেটা কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২৩ ডিসেম্বর অর্থাৎ আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে ভোটের সম্ভাব্য দিন জানানোর কথা বলেছিল আদালত। সেই অনুযায়ী, এদিন বকেয়া ভোটের দিন জানিয়েছে কমিশন। আদালতে পরবর্তী ভোটের পরিকল্পনার কথাই জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলেছে, বকেয়া ১১১টি পুরসভায় দু’দফায় ভোট হবে। ২২ জানুয়ারি প্রথম দফায় ভোট হবে। দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। প্রথম দফায় হাওড়া, চন্দননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল, বিধাননগরে ভোট হবে। বাকি সবকটি পুরসভায় ভোট হবে দ্বিতীয় দফায়। এদিন হাইকোর্টে এমনটাই জানিয়েছে
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরভোটের ফলঘোষণা হয়েছে রবিবার। ১৩৪টি পুরসভায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ব্যাপক মার্জিনে এই জয়ের পর শহরজুড়ে ‘খেলা হবে’র সুরে বিজয় উদযাপন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওইদিন বলেন, ‘গণ উৎসবে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।’
সূত্রের খবর, কমিশন জানাচ্ছে ২২ জানুয়ারি ও ২৭ ফেব্রুয়ারি এই ভোট তারা করাতে চায়। তবে হাওড়া ও বালি পুরসভার ভোট এখন হবে না। যেহেতু আইনি জটিলতায় সেই ফাইল এখনও রাজভবনের অনুমোদন পায়নি সেহেতু হাওরা কর্পোরেশন ও বালির ভোট হবে সেই জটিলতা কাটলে।
একদিনে ভোট না করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কোভিড এবং নিরাপত্তারক্ষীর সমস্যার কথা তুলে ধরা হবে বলে ঠিক রয়েছে। ইতিমধ্যেই বাকি পুরসভার ভোটে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বুধবার মামলা দায়ের করেছে বামেরা। তারও শুনানি রয়েছে এদিন।
কলকাতা পুরভোটে পুলিশের ভূমিকায় রাজ্য সরকার খুশি। পুলিশ যে নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছে আদালতে তথ্য প্রমাণ তুলে ধরবে রাজ্য। পাল্টা বিরোধীরা দেখাবে কত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্য, পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ ছিল না।
বিজেপি চাইছে ওই মামলার সূত্র ধরে তারা রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতে ভোটের সময় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানাতে। তার জন্য কলকাতায় রবিবারের পুরভোট নিয়ে তারা একটি ভিডিও তথ্যচিত্র তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। সর্বোচ্চ আদালতে তা পেশ করে দাবি করা হবে রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলিতে যেন পুরোপুরি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এখন দেখার নিরাপত্তা নিয়ে আদালতে কী জানায় কমিশন।