গ্যাসের আগুনে মুরগীর ডিম ফুটে বাচ্চা , সাড়া ফেলে দিয়েছে মুর্শিদাবাদ। দেবাশীষ মণ্ডল, দেশের সময়ঃ– কথাটা শুনে মনে হতে পারে সিদ্ধ ডিমের পরিবর্তে গ্যাসের আগুনে সিদ্ধ মুরগীর বাচ্চা, আমারও সেটাই মনে হয়েছিলো কিন্ত চোখে দেখার পর পাল্টে গেল চিন্তা ভাবনা। গত ৩ রা মে ২০১৮ মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের আমন্ত্রণে ভগবানগোলা ১ নং ব্লকের বলরামপুর গ্রামে পৌছালাম তখন সকাল ১১ বাজে। গ্রামের কৃষক ও মহিলাদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম সংখ্যালঘু এলাকায় ১৩ জন মহিলা মিলে ২০১৫ সালে তৈরী করেছেন অগ্নিবীনা কৃষি উন্নয়ন ফার্মাস ক্লাব। এই স্বনির্ভর গোষ্টির এক সদস্যা কুলসন বিবি জানালেন – কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়ীতে আমরব্যবস
নোা বা মুরগী পালন শুরু করি। প্রথম দিকে দেশীও পদ্ধিতে মুরগীর ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা বিক্রি এবং বিভিন্ন জাতের মুরগীর চাষ করতাম খুব একটা লাভের মুখ দেখতে পেতাম না। এর পর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সহযোগিতা নিয়ে গত আর্থিক বর্ষে আত্মা প্রকল্পে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর মেসিন পেয়েছেন। দেশিও পদ্ধতিতে বিদ্যুতের পরিবর্তে গ্যাসের মাধ্যমে এক সঙ্গে ৮০০ থেকে ১০০০ ডিম ফোটাতে পার়ছেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অন্য আর এক সদস্যা গুলসন বিবি বলেন গ্রাম বাংলায় কারেন্টের সমস্যা থাকে তাই প্রথম দিকে মনে হয়েছিলো শেষ পর্যন্ত পারবো কিনা। এখন আর অসুবিধা হচ্ছে না। কারেণ্ট না থাকলে গ্যাসের আগুনে তাপমাত্রা কণ্টোল করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত আমরা দুইবার ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়েছি। ৮৩% বাচ্ছা পাওয়া গেছে। মেসিনে মুরগী ডিম থেকে বাচ্চা ফুটতে সময় লাগছে মাত্র ২১ দিন। হাঁসের ডিম হলে লাগছে ২৮ দিন এবং কোয়েলের ডিম লাগছে ১৭ দিন। ৪/৫ ফুট মেসিনের দাম ১ লক্ষ ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। একবার বাচ্চা ফোটাতে ডিমের দাম বাদে গ্যাস এবং কারেন্ট খরচ মাত্র ৭০০ টাকা।রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্টির মহিলাদের কাছে মুর্শিদাবাদের বলরাম গ্রামের মহিলারা যেভাবে নিজেদের তুলে ধরেছেন। তাতে আগামী দিনে দিষ্টান্ত হয়ে থাকতে পারে। -দেশের সময়ঃ