দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: দুর্গাপুজো শেষের মন খারাপ অনেকটাই কমিয়ে দেয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। লক্ষ্মীবন্দনার ব্যস্ততা ঘরে ঘরে। করোনাকালে ধুমধাম করে দুর্গাপুজো হয়নি। তাই লক্ষ্মীপুজো বাঙালির মন ভাল করার রসদ বললে অত্যুক্তি হয় না। ধনধান্যে ভরা সংসারের কামনায় লক্ষ্মী আরাধনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে সনাতন হিন্দু ধর্মে।
উমার কৈলাশ যাত্রার পরেই বাংলার সর্বত্র শুরু কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর তোড়জোড়। মূলত আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। বাংলা, অসম এবং ওড়িশায় এই পূর্ণিমা তিথিতে পুজো করার চল রয়েছে।
এই পূর্ণিমাকে আবার ‘শারদ পূর্ণিমা’ও বলা হয়। ধনসম্পদের দেবী মা লক্ষ্মী সৌভাগ্য এবং শান্তির প্রতীক। সৌভাগ্য অর্জনের জন্য বাংলার ঘরে ঘরে দেবীর আরাধনা করা হয়। তিথি অনুসারে চলতি বছরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো দুদিন ব্যাপী রয়েছে। ১৯ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত এই তিথি। ১৯ তারিখ সন্ধে ৭ টা বেজে ০৩ মিনিটে শুরু হয়ে ২০ অক্টোবর রাত্রি ৮ টা বেজে ২৬ মিনিটে শেষ হবে। এই সময়ের মধ্যেই মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা যাবে। তবে তার মধ্যেও শুভ সময় মাত্র ৫২ মিনিট। ১৯ অক্টোবর রাত ১১.৩৫ মিনিট থেকে ১২.২৭ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে পুজো করলে মনোকামনা পূরণ হবে সকলের।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর নিয়ম অনুসারে সারা রাত জেগে দেবীর আরাধনা করতে হয়। এদিন রাতে বাড়ির দরজাও বন্ধ করতে নেই। কথিত আছে, কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিনে দেবী স্বর্গ থেকে মর্ত্যে আসেন এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলকে আশীর্বাদ করেন। কিন্তু দরজা বন্ধ থাকলে সেই গৃহে প্রবেশ করতে পারেন না তিনি।