দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রবিবাসরীয় দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন বাবুল সুপ্রিয় ৷ তিনি এদিন বললেন, প্লেয়িং ইলেভেনে সুযোগ পেয়েই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বড় সুযোগ তাঁকে দেওয়া হয়েছে।
মেয়েকে আদর করে ইনিংস শুরু হলো। তৃণমূলের হয়ে মাইক তুলে নিলেন বাবুল সুপ্রিয়। প্রথমেই ফাঁস করে দিলেন, কেন বিজেপি ছাড়লেন, কেন তৃণমূলের এলেন৷ তাঁর কথায়, জীবন তাঁকে একটা নতুন সুযোগ দিয়েছে৷
তবে কী সুযোগ, তা এখনও পরিষ্কার করেননি বাবুল। তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই তা জানাবেন। এদিন বাবুল আরও জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আপাতত ‘সন্ন্যাস’ নিয়েছেন তিনি। ফোন থেকে অ্যাপ ডিলিট করে দিয়েছেন বলেও জানান বাবুল।
আগে বলা কোনও কথাই মুছে ফেলতে চান না বাবুল। সোশ্যাল মিডিয়ায় করা সমস্ত পোস্টই তিনি রেখে দেবেন বলে জানিয়েছেন। এদিন বাবুল বলেন, প্লেয়িং ইলেভেনে থাকতে পছন্দ করেন তিনি। যেখানে তাঁকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে, সেখানেই তিনি থাকতে চান।
বাবুল এদিন বলেন,” আমাদের জীবনে বহু ঘটনা ঘটে। তা থেকে মনে যা হয় সেভাবেই আমরা প্রতিক্রিয়া দিই। আমি হয়তো গায়ক বলে কিছুটা আবেগপ্রবণ কিন্ত রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্তটা ঝোঁকের মাথায় ছিল না।” কিন্তু সেই সন্ন্যাস ভেঙে কেন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন? বাবুলের এক কথায় ব্যাখ্যা, “প্লেইং ইলেভেন এ থাকতে চাই।” অর্থাৎ প্রথম একাদশে সুযোগ চান তিনি। বাবুল স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন বিজেপিতে তিনি কোনঠাসা হয়ে পড়ছিলেন।
তা বলে অবশ্য ইতিহাসকে অস্বীকার করতে চাইছেন না বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর কথায়, যখন যেটা করি তখন সেটা মন দিয়ে করি। অতীতের কোনও পোস্ট ডিলিট করব না।
কিন্তু গাঁটছড়াটা কে কবে বাঁধল! বাবুল বলছেন,”মাত্র চার দিন আগে ডেরেক ওব্রায়েন সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। পুরো বিষয়টাই তার কাছে খুব অনুপ্রেরণার ছিল সেই করণেই এই সিদ্ধান্ত নেন।”
বাবুলের যুক্তি, “আমি একটি সুযোগে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছি। এই সুযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করে দিয়েছেন। বাবুলের কথায়, তৃণমূলের থেকে তিনি প্রাণ ভরা ভালবাসা পাচ্ছেন।”