দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দি গার্ডিয়ান এর প্রশ্নের এই সংক্ষিপ্ত উত্তরেই কি তাঁর ভারতীয় টিমের হেড কোচের পদ থেকে ইস্তফার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন রবি শাস্ত্রী? তেমনই জল্পনা শুরু হয়েছে ক্রিকেট মহলে। বলা হচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও ওমানে আসন্ন টি ২০ বিশ্বকাপের পরই সরে যাচ্ছেন তিনি। আইসিসি-র টুর্নামেন্টের পর ভারতের টি ২০ টিমের অধিনায়ক পদে আর থাকবেন না বলে দিনকয়েক আগে জানিয়েছেন বিরাট কোহলি। “আমার বিশ্বাস, যা যা চেয়েছিলাম, সবই পেয়েছি!” এবার সোজাসুজি না হলেও ঘুরিয়ে প্রাক্তন ভারতীয় অল রাউন্ডারও বুঝিয়ে দিলেন, তিনিও সরে যাচ্ছেন।
ব্রিটিশ সংবাদপত্রের তরফে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অক্টোবর-নভেম্বরে আসন্ন টি ২০ বিশ্বকাপই কি তাঁর ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসাবে শেষ অ্যাসাইনমেন্ট হতে চলেছে।
শাস্ত্রীর ভারতীয় দলে প্রবেশ ঘটেছিল টিম ডিরেক্টর হিসাবে। ২০১৭য় চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর তখনকার হেড কোচ অনিল কুম্বলের সঙ্গে অধিনায়ক কোহলির সংঘাত তখন চরমে। সরে যান কুম্বলে। প্রধান কোচের পদে বসেন শাস্ত্রী। তাঁর ৫ বছরের মেয়াদে ভারতীয় ক্রিকেট দল যে সাফল্য পেয়েছে,তিনি তাতে খুব খুশি বলে জানিয়েছেন শাস্ত্রী। তাঁর ব্যাখ্যা, ৫ বছর টেস্ট ক্রিকেটে ১ নম্বরে থাকা, অস্ট্রেলিয়ায় দুবার জয়, ইংল্যান্ডের মাটিতে জয়। মাইকেল আথারটনকে এর আগে বলেছিলাম, অস্ট্রেলিয়াকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে, কোভিড কালে ইংল্যান্ডকে হারানো। আমার কাছে এটাই তো চরম প্রাপ্তি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২-১ এ সিরিজে এগিয়ে আছি।
লর্ডস, ওভালে যেভাবে খেলেছি, সেটা আলাদা করে বলার মতো।
শাস্ত্রীর জমানাতেই ২০১৮-১৯ এ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জেতে ভারত।
২০২০-২১ এও দলের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের অনেকের চোট-আঘাত সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় পায় ভারত। চলতি ইংল্যান্ড সিরিজও প্রায় জিতে বসে আছে বিরাট বাহিনী। এই কীর্তিগুলির উল্লেখ করে শাস্ত্রীর মন্তব্য, সেরা সময় পেরিয়ে থেকে যাওয়া উচিত নয়!
সেই মাপকাঠিতেই বলতে চাই, দলের কাছ থেকে যা প্রত্যাশা ছিল, তার অনেক বেশিই পেয়েছি। কোভিডের বছরে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও সিরিজে এগিয়ে থাকা! আমার ক্রিকেট জীবনের চার দশকে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি পেয়েছি।