দেশের সময় ,বনগাঁ: দিন কয়েক আগেই এক টোটো চালক ২০ হাজার টাকা সহ ১টি ব্যাগ কুড়িয়ে পেয়ে তাঁর টোটোর যাত্রীকে ফিরিয়ে দিয়ে ছিলেন ৷ এবার ফের সততার নজির গড়লেন তাপস চক্রবর্তী নামে বনগাঁর এক বস্ত্র প্রতিষ্ঠানের কর্মী। দু`ভরি ওজনের দুটি সোনার বালা কুড়িয়ে পেয়ে গয়নার মালিকের হাতে তুলে দিলেন ওই ব্যক্তি। খোয়া যাওয়া গয়না ফিরে পাওয়ায় ওই ব্যক্তির সততায় খুশি গয়নার মালিকও।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানাগিয়েছে, বনগাঁর মতিগঞ্জ এলাকার একটি সোনার গহনার দোকানের বয়স্ক কর্মী রাসমোহন সূত্রধর বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা মুল্যের দুটি সোনার বালা নিয়ে বাটা মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। বসাক পাড়ার কাছে পৌঁছানোর পর তিনি খেয়াল করেন যে তার পকেটে থাকা সোনার বালা দুটি নেই ৷ দ্রুত দোকানে ফিরে গিয়ে তিনি বিষয়টি তাঁর মালিককে জানান।
এরপর দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যাবেলা পর্যন্ত সন্ধান মেলেনি সোনার বালা দুটির। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিতার ভাজ পড়ে গহনার মালিক এবং কর্মীর কপালে। হঠাৎই এক বন্ধুর ফোন আসে গহনার মালিকের কাছে তিনি জানতে পারেন যে, বালা দুটি কুড়িয়ে পেয়ে বনগাঁ থানায় জমা দিয়েছেন কোন এক ব্যক্তি।
এরপর বনগাঁ থানায় যোগাযোগ করেন গহনার মালিক। পুলিশের উপস্থিতিতে বনগাঁ বাটামোড় এলাকার বস্ত্র প্রতিষ্ঠানের কর্মি তাপস চক্রবর্তী কুড়িয়ে পাওয়া বালা দুটি তুলে দেন গহনার মালিকের হাতে। খোয়া যাওয়া সোনার বালা ফিরে পেয়ে গহনার মালিক তরুন সিনহা দেশের সময় কে বলেন, প্রায় দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার গহনা কুড়িয়ে পেয়ে ফেরত দিয়েছেন তাপসবাবু। তাঁকে শুধু ধন্যবাদ জানালেও কম হবে তাঁর এমন সত মানুষিকতার জন্য সারা জীবন উনি আমাদের মনে থাকবেন৷
এ বিষয়ে তাপস চক্রবর্তী জানান, ব্যাগ কুড়িয়ে পেয়ে খুলতেই দেখি, ভেতরে দুটি সোনার বালা রয়েছে। সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে সেটি থানায় জমা দিয়ে এসেছিলাম ৷ যার গহনা তাঁর হাতে শেষ পর্যন্ত সেটি পৌঁছানোয় আমারও খুব ভাল লাগছে। স্থানীয় এক স্বর্ণ ব্যাবসায়ী গোকুল দে বলেন বনগাঁ যে সততার পীঠস্থান তা আবার প্রমান করল তাপস বাবু।