দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ তালিবান আতঙ্কের মধ্যে আরও একটা নতুন আতঙ্ক মাথাচারা দিতে শুরু করেছে কাবুলে। আমেরিকার প্রতিরক্ষার মন্ত্রকের এক আধিকারিকের দাবি, কাবুল বিমানবন্দরে বড়সড় হামলা চালাতে পারে ইসলামিক স্টেট-খোরাসান জঙ্গিগোষ্ঠী।
কাবুল বিমানবন্দরে যে কোনও মুহূর্তে সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে। নিজের দেশের নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যেতে বলল আমেরিকা, ব্রিটেন সহ পশ্চিমের দেশগুলি।
হাজারে হাজারে মানুষ রোজই কাবুল বিমানবন্দরে জড়ো হচ্ছেন। তালিবানি আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসার মরিয়া চেষ্টা চলছে। আমেরিকা, ব্রিটেন, ভারত, জার্মানি সহ বহু দেশ নিজেদের সামরিক বিমান পাঠিয়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। এখনও অবধি মার্কিন সামরিক বিমানে ৯০ হাজার আফগান ও বিভিন্ন দেশের বাসিন্দাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। ৩১ অগস্ট তালিবানের দেওয়া ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই দ্রুত নিজের দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় চলছে। তার মধ্যেই সন্ত্রাসবাদী হামলার সতর্কতা জারি হয়েছে।
খবর মিলেছে, এদিন ভোরে চারজন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে বিমানবন্দরে আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখে মার্কিন সেনা। তাদের আটকও করা হয়েছে। এরপরেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলার চেষ্টা হতে পারে। বিমানবন্দরে অ্যাবেয় গেট, পূর্ব বা উত্তর গেটের কাছে যাঁরা আছেন, তাঁদের দ্রুত নিরাপদ জায়গায় পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমেরিকা নিজের দেশের নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছে, হামিদ কারজাই বিমানবন্দর বা তার আশপাশে ভিড় না জমাতে। কারণ পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। যে কোনও সময়েই হামলা হতে পারে।
তালিবান কাবুলের দখল নেওয়ার পর থেকেই আফগানদের দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে গেছে। এখনও দেশ ছাড়তে পারেননি বহু আফগান বাসিন্দা। ভারত, ব্রিটেন, আমেরিকা নিজেদের দেশের নাগরিকদের উদ্ধার করে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, যতদিন না আফগানিস্তান থেকে উদ্ধারকাজ শেষ হবে, ততদিন মার্কিন সেনা মোতায়েন থাকবে।
পরে তালিবানের সঙ্গে চুক্তি মাফিক ৩১ অগস্ট অবধি সময় ধার্য হয়। তালিবান মুখপাত্র জানায়, ওই দিনের মধ্যেই সেনা প্রত্যাহার করতে হবে আমেরিকাকে। বাইডেন এই শর্তে প্রথমে রাজি হলেও এখন উদ্ধারকাজের সময়সীমা আরও বাড়ানোর কথা বলেন। তাতেই হুঁশিয়ারি দিয়ে তালিবান জানিয়ে দেয়, নির্ধারিত দিনের থেকে আর একদিনও বেশি সময় দেওয়া হবে না। এই মুহূর্তে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সুরক্ষায় রয়েছে অন্তত ৫ হাজার মার্কিন সেনা।
এদিকে আফগানিস্তান থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করতে আরও জোরদার ব্যবস্থা নিচ্ছে নয়াদিল্লি। আজই ১৮০ জনকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ডেডলাইনের আগেই তাই ভারতীয়দের উদ্ধারকাজ শেষ করে ফেলতে হবে।