দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ইয়াস ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার পর লন্ডভন্ড অবস্থা হয়ে যাওয়া দিঘা, মন্দারমনি, তাজপুর-সহ উপকূলীয় অঞ্চলগুলির পুনর্গঠনে আগেই ব্লু-প্রিন্ট ছকে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
তিন ধাপে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাওয়া দোকানগুলি ফের চালুর জন্য ৫২টি মোবাইল ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিল রাজ্য। নবান্ন থেকে ভার্চুয়ালি ব্যবসায়ীদের এই ভ্যানগুলি প্রদান করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্ন থেকে ভারচুয়ালি ব্যবসায়ীদের সেসব প্রদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, মহকুমা শাসকের হাত থেকে সুসজ্জি, নতুন ভ্যানগুলি নিলেন ব্যবসায়ীরা। নতুন ভাবে ফের সৈকত পসরা সাজিয়ে তাঁরা বসতে পারবেন, সরকারি মোবাইল ভ্যান পেয়ে এই আশায় নতুন করে বুক বাঁধলেন তাঁরা।
পরবর্তী ধাপে আরও ৩০টি প্রকল্প হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিন এছাড়াও উপকূলবর্তী অঞ্চলের সাজিয়ে তুলতে দিঘা এবং সুন্দরবন এই দুটি মাস্টারপ্ল্যানের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি জানান, ইতিমধ্যে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ চালু হয়েছে। এরই মধ্যে ১৯.১ লক্ষ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ৩৬৪.৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ইয়াসের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েও কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন মমতা।
তবে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্বপ্নের দিঘা সৈকতকে ফের সাজিয়ে তুলতে যে তিনি বদ্ধপরিকর এদিনে তাঁর কথায় তা স্পষ্ট। করোনা মহামারীর পর যতটুকুও করে খেতে পারছিলেন তা ইয়াসের জেরে সম্পূর্ণভাবে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। আর তাই দু’মাসের মাথায় সেই সকল ব্যবসায়ীদের আয়ের সন্ধান করে দিতে মোবাইল ভ্যান তুলে দিলেন তিনি।