দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ এবার আরও এক জেএমবি জঙ্গি ধরা পড়ল এ রাজ্যে। আগেই ধরা পড়া নাজিউরকে জেরার ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে বৃহস্পতিবার সকালে বারাসাত থেকে গ্রেফতার করা হল রাহুল সেন ওরফে লালুকে। সূত্রের খবর ধৃত রাহুল জেএমবি জঙ্গিদের নকল পরিচয়পত্র বানাতে সাহায্য করা, টাকা পয়সার লেনদেন চলত তার হাত দিয়েই। এসটিএফ সূত্রে খবর, সে নিজেও আদতে বাংলাদেশি জেএমবি-র সক্রিয় সদস্য।
সূত্রের খবর ধৃত এই জঙ্গির কাছ থেকে মিলেছে ভারতীয় পরিচয় পত্র। সেগুলো আসল নাকি নকল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার কাছে দুটো ল্যাপটপ, একটা আই প্যাড দুটো ফোন ও একাধিক জেহাদি নথিও পাওয়া গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, হুন্ডির মাধমে অর্থও পৌছে দেওয়ার কাজও চালাত রাহুল। একই কাজ তিনি করতেন বাংলাদেশ এ থাকা জেএমবি জঙ্গিদের জন্যেও।
জানা যাচ্ছে, বারাসাত থেকে ধৃত রাহুল বাংলাদেশেও গ্রেফতার হয়েছিল। বেশ কয়েক বছর জেলও খাটে সে। রাহুলকে জেরা করে ও তার ল্যাপটপ থেকে বাংলাদশের এক হ্যান্ডলারের নাম পাওয়া গিয়েছে। তা থেকেই এই চক্রটির উপর নীচ সবটা পরিষ্কার হচ্ছে।
এসটিএফ সূত্রে খবর, ওই হ্যান্ডলারের নাম আনসার আলি ওরফে হৃদয়। আল আমিনের নেতৃত্বে এই হৃদয় কাজ করে। আর হৃদয়ের নেতৃত্বে, তারই নির্দেশ মতো নাজিউর, সেলিম ও রাহুলরা কাজ করত। এখনও পর্যন্ত উঠে আসা তথ্যে এটুকু পরিষ্কার, হৃদয়ের নির্দেশেই তিন জঙ্গি ভারতে প্রবেশ করেছিল।
সূত্রের খবর, স্লিপার সেল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করতেই রাহুলের ব্যবস্থাপনায় কলকাতায় গা ঢাকা দিয়ে থাকছিল তিন জঙ্গি৷ ডাকাতি করেই টাকা জোগাড়ের ছক কষেছিল তারা৷ এর জন্য কলকাতার বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক, বড় গয়নার শোরুমে রেইকি শুরু করেছিল তারা৷
ফল, মশারি বিক্রি, ছাতা সারাইয়ের নামে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে চলত ডাকাতির ছক কষা৷ ডাকাতির জন্য টার্গেটে থাকা ব্যাঙ্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা গয়নার শোরুমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতটা আঁটোসাঁটো, সে সমস্ত তথ্যই সংগ্রহ করে রাখত তিন জঙ্গি৷ নাজিউরের নেতৃত্বেই তাদের ডাকাতি করার পরিকল্পনা ছিল৷