![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2021/05/NEW-1024x853.jpg)
দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ বাংলায় বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে ২ মে। অর্থাৎ সবে ১৯ দিন হল। তিন সপ্তাহও কাটেনি। এরই মধ্যে আজ শুক্রবার রাজ্য বিধানসভা থেকে ইস্তফা দিলেন কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
ভবানীপুর বিধাসভা আসনের বিধায়ক পদ ছেড়ে দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরে বিধানসভায় গিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পদত্যাগ পত্র তুলে দেন। ভাবনীপুর আসন থেকে উপনির্বাচনে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার পদত্যাগের পরে শোভনদেব বলেন, ‘‘দলনেত্রীকে আসন ছেড়ে দিতেই তিনি ইস্তফা দিলেন।’’
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2021/05/triveni-vapour-pic-01-1024x853.jpg)
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ভবানীপুর আমার বড় বোন, নন্দীগ্রাম ছোট বোন। ভোটের পর দেখা যাচ্ছে, বড় বোনের কাছেই থাকতে পারেন দিদি। ভবানীপুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরের আসন। তাঁর বুথও ভবানীপুরের মধ্যেই পড়ে।
তবে শোভনদেববাবুর এই ইস্তফা আরও কিছু আনুসঙ্গিক প্রশ্ন তুলছে। তা হল শোভনদেববাবু কোন আসন থেকে বিধানসভায় জেতার চেষ্টা করবেন। খড়দহ আসনে তৃণমূল জিতলেও ফল প্রকাশের আগেই সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু খড়দহে শোভনদেববাবু প্রার্থী হবেন নাকি অমিত মিত্র প্রার্থী হবেন সেও দেখার। অমিত মিত্র ভোটে না লড়লেও তিনি ফের অর্থমন্ত্রী হয়েছেন। ফলে তাঁকেও মুখ্যমন্ত্রীর মতোই কোনও একটি আসন থেকে জিতে আসবে হবে। খড়দহ অমিত মিত্রর পুরনো আসন।
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2021/05/DS-AD-03.jpg)
উল্লেখ্য, বরাবর রাসবিহারী আসন থেকে বিধায়ক হয়েছেন শোভনদেব। অন্য দিকে, ভবানীপুর মমতার পুরনো আসন। এই বিধানসভা নির্বাচনে মমতা নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ায় ভবানীপুর থেকে লড়েন শোভনদেব। বিজেপি-র অভিনেতা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে পরাজিত করেন তিনি। নন্দীগ্রামে মমতা জয় না পাওয়ায় নিয়ম মতো মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও আসন থেকে জিতে আসতে হবে। তৃণমূল সূত্রে খবর, নিজের পুরনো কেন্দ্র ভবানীপুর থেকেই মমতা উপনির্বাচনে লড়াই করবেন।
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2021/05/DS-AD-04-scaled.jpg)
তৃণমূলের অনেক পুরনো সৈনিক শোভনদেব। তিনিই দলের প্রথম বিধায়ক। একদা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন শোভনদেব। তৃণমূল গঠনের পর ১৯৯৮ সালে বারুইপুরের বিধায়ক পদ ছেড়ে রাসবিহারী উপ নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হন। কংগ্রেস বিধায়ক হৈমী বসুর মৃত্যুতে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল। শোভনদেবের সেই উপ নির্বাচনে জয়েই প্রথম বিধানসভায় প্রবেশ তৃণমূলের।
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2021/05/CAR-BAZAR-scaled.jpg)
ভোটের সময়ে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে ভোট বকেয়া রয়েছে। তা ছাড়া দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিজেপি বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। সেখানেও উপ নির্বাচন হবে।
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2021/05/NEW-AD-1024x853-1.jpg)
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2021/05/arka-music-house-add-scaled.jpg)
![](https://deshersamay.com/wp-content/uploads/2021/05/DR-scaled.jpg)