দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বুধবার টানটান নারদ মামলার শুনানি শেষে কলকাতা হাইকোর্ট বলেছিল, ফের শুনানি হবে বৃহস্পতিবার। কিন্তু এদিন আদালত জানিয়ে দেয়, বেঞ্চ গঠন না করতে পারার জন্য আজ শুনানি হচ্ছে না। বিকেলে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল জানিয়েছেন শুক্রবার দুপুর দুটোয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।
এদিন নারদ মামলায় ধৃত মদন মিত্রর আইনজীবী আদালতে আবেদন করেছিলেন, এই মামলা যাতে অন্য বেঞ্চে সরানো হয়। কিন্তু কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের বেঞ্চ বদলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এদিন আদালত সকালে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল তাতে শুধু বলা ছিল, আজ বৃহস্পতিবার প্রথম বেঞ্চ অর্থাৎ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করা যাচ্ছে না। তাই শুনানি হবে না। তাতে পরবর্তী শুনানির দিন উল্লেখ না থাকায় সংশয় তৈরি হয়েছিল ধৃত চার নেতামন্ত্রীকে কতদিন হেফাজতে থাকতে হবে তা নিয়ে। যদিও বিকেলে জানা গেল, কাল শুক্রবারই হবে নারদ শুনানি।
গতকাল হাইকোর্টে নারদ মামলার শুনানি ছিল। সেখানে ধৃতদের হয়ে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, সিবিআইয়ের হয়ে সওয়াল করেন কেন্দ্রের সলিসিটার জেনারেল তুষার মেটা। দু’পক্ষের আইনজীবীকেই বিচারপতিরা তীক্ষ্ণ সব প্রশ্ন ছুড়ে দেন। তার সওয়াল জবাবে শুনানি হয়ে ওঠে একেবারে টানটান। নিজাম প্যালেসে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঁচ থেকে ছ’ঘণ্টা বসে থাকা, নিজাম প্যালেসের বাইরে তৃণমূলের বিক্ষোভ এই সবই উঠে আসে শুনানিতে। অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এবং তুষার মেটা পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করেন।
এদিন নারদ মামলা নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, “যা করেছে ওদের সঙ্গে, এ অন্যায়ের সীমা পরিসীমা নেই। আমি কোর্টের ব্যাপারে মন্তব্য করব না। তবে কোর্টের বাইরে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসাবে, সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে বলছি… এটা উদ্দেশ্যপ্রোণদিত রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।”