দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আজ রবিবার থেকে সারা রাজ্যে জারি লকডাউন। অফিস-কাছারি স্কুল কলেজ বন্ধ, তবে ছাড় রয়েছে জরুরি পরিষেবায়।লকডাউন পালন করতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন, এলাকাগুলোতে কঠোর হাতে নিয়ম শৃংখলা দেখছে পুলিশ। চালু হল মাইকিংও।
সকাল ৭ টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজার হাট, মুদিখানা দোকান খোলা থাকবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা খোলা মিষ্টির দোকান। ১২টা থেকে দুপুর ৩ পর্যন্ত শাড়ি ওগয়নার দোকান খোলা থাকবে৷ এছাড়াও নিয়ম মাফিক ওষুধের দোকান এবং চশমার দোকান খোলা থাকবে। বার বন্ধ থাকবে৷
লকডাউনে সমস্ত রকম সরকারি ও বেসরকারি পরিবহনও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। টোটো অটো বাস চলাচল বন্ধ থাকবে একদিন। জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া নিজস্ব গাড়ি নিয়েও বেরনো যাবে না রাস্তায়। বিভিন্ন থানার পক্ষ থেকে সতর্কতা জারির জন্য এলাকাগুলোতে করে মাইকিং- এর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের দাপট কমাতে রাজ্যসরকার গত ৫ মে থেকে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছিল। ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়েছিল লোকাল ট্রেন। কিন্তু সংক্রমণ সেই অনুমাতে না কমায় রাজ্যসরকার পুরোপুরি লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়।
রবিবার থেকে কিছু অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান ছাড়া অন্য কিছুই খোলা রাখা যাবে না, এমনটাই নির্দেশ। পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কঠোরভাবে লকডাউনের শৃংখলা রক্ষা করতে।
জানানো হয়েছে, লকডাউনে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করলে বা নিয়ম ভাঙলে ভারতীয় আইনের দন্ডবিধির অনুযায়ী কঠোর সাজা মিলবে।
লকডাউনের প্রথম দিন সকাল থেকেই রাজপথে পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেল। অনেক উৎসাহী জনগণ গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন, তাদের গাড়ি ঘুরিয়ে দেবার পাশাপাশি পথচারীদেরও সাবধানবাণী শোনাতে দেখা গেল। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ প্রশাসনকে মাইকিং করতে শোনা গেল। মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে, নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে মামলা করা হবে।
লকডাউনে সকাল ১০ টা পেরিয়ে যেতেই বনগাঁ এলাকায় দেখা গেল নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবজি, ফল ও মাছের অস্থায়ী দোকানও বন্ধ করেদেন ব্যাবসায়ীরা৷। মুহুর্তে ফাঁকা হয়ে যায় বাজার ও রাস্তা।