বন্ধ লোকাল ট্রেন, রুটি-রুজি নিয়ে শঙ্কায় বনগাঁর মিষ্টি শ্রমিক সহ সমস্ত জেলার হকারেরা

0
702

দেশের সময়: বৃহস্পতিবার থেকে লোকাল ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার পরে সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে আপাতত আগামী ১৪ দিন এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলায় এই সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয়তা মেনে নিয়েও রেলের একাংশের হকারদের প্রশ্ন, এ বার তাঁদের রুজি-রুটির কী হবে?

কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে গণপরিবহণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লোকাল ট্রেন। সেই ট্রেন বন্ধ থাকলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে এটা স্বাভাবিক।

লোকাল ট্রেন বন্ধের জেরে প্রবল সমস্যায় পড়েছেন হকাররা। কিন্তু ‘পেটের থেকে মানুষের জীবন আগে’। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছেন তাঁরা। বনগাঁর মিষ্টি কারখানার মালিক বিমল ঘোষ বলেন, এই মিস্টি তৈরী এবং বেচাকেনার সঙ্গে প্রায় ১০০০ পরিবার যুক্ত, ছানার মিষ্টি তৈরী সম্পূর্ণ বন্ধ, লোকাল মার্কেটের জন্য লাড্ডু আর গজা তৈরীর কাজ চলছে কোনরকমে৷ ট্রেন বন্ধ থাকায় কলকাতায় কোন মিষ্টি যাচ্ছেনা ফলে চাহিদা না থাকায় ছানার কাজ বন্ধ রাখাহয়েছে,তার জেরে শ্রমিক সহ হকাররাও অপাতত কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

সুকুমার দেবনাথ পেশায় চিরুনি বিক্রেতা, বনগাঁ থেকে নৈহাটি ,কাকিনাড়ায় নিত্য যাতায়াত করে চিরুনি বিক্রি করে সংসার সামলান,তার কথায় লোকাল ট্রেন বন্ধ হওয়ায় সমস্ত চাপ গিয়ে পড়বে সরকারি বাসের উপর। তার থেকে কি সংক্রমণ বাড়বে না? তাই আমরা মনে করি, লোকাল ট্রেন পুরোপুরি বন্ধের আগে সরকার বিষয়টি নিয়ে আরও একটু চিন্তা-ভাবনা করুক।’’

প্রসঙ্গত,করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে আট মাস বন্ধ থাকার পর গত ১১ নভেম্বর চালু হয়েছিল লোকাল ট্রেন। প্রায় ছয় মাস চলার পর আবার বন্ধ হচ্ছে শহরতলির ‘লাইফ লাইন’। দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা থেকে প্রতিদিন লক্ষ মানুষ কলকাতায় যান কাজে। তাঁদের লোকাল ট্রেনই ভরসা। গতবার ট্রেন বন্ধের সময় ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছিল যাত্রীদের। বিক্ষোভ-অবরোধ শুরু করেছিলেন তাঁরা। পরে ট্রেন চালু হওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করে জনজীবন।

চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের অনেকে মনে করেন, করোনা যে ভাবে বাড়ছে তাতে ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতেই হত সরকারকে। অবশ্য নিত্যযাত্রীদের একাংশের মতে শুধু ট্রেন বন্ধ রেখে শৃঙ্খল ভাঙা যাবে না। কর্মস্থল খোলা থাকলে সেখানে কোনও ভাবে পৌঁছাতে হবে। তখন বাসে বা অন্য কোনও ভাবে তাঁরা যাবেন। লকডাউন হলে সেই তাগিদ থাকবে না। যাঁরা অল্প বেতনে বেসরকারি জায়গায় কাজ করেন, তাঁদের সমস্যায় পড়তে হবে।

 

Previous articleভয়াবহ! প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি মৃত্যু একদিনে,দেশে আক্রান্ত ৪ লাখ পার
Next articleআগামী ১৫ দিন বাংলায় করোনার দাপট বাড়তে পারে, সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here