দেশের সময় ,হাবরা: শুক্রবার সকাল থেকেই হাবড়া পৌরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে গিয়ে ভোটের প্রচারের ফাঁকে জনসংযোগের পাশাপাশি এলাকার মানুষকে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন হাবড়া বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নটাকে মূল হাতিয়ার করে ভোটের প্রচারের কাজ সারছেন তিনি।
ভোটের প্রচারে বের হয়ে মূল অস্ত্র তিনি এলাকার উন্নয়নটাকেই ব্যবহার করছেন। জনসংযোগে বের হয়ে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী সহ সরকারী নানা প্রকল্পের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নটাকেই প্রচারের আলোয় আনছেন তিনি। তবে এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নের নিরিখে তিনিই বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এ বিষয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন,”আমার মূল উদ্দেশ্য স্বপ্নের হাবড়া তৈরী করার। গত দশ বছরে গোটা এলাকায় উন্নয়নের কাজে গতি এনেছি।
দশ বছর আগে এই হাবড়াকে দেখলে মনে হতো এটা বুঝি কোন পিছিয়ে পড়া পঞ্চায়েত। উন্নয়ন যেন অনেক আগেই থমকে গিয়েছিল এখানে। সেই জায়গা থেকে আমি কাজ শুরু করেছি। এই হাবড়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছি। যার কারনে অজিত সাহা, জাকির হোসেন, নেহাল আলি, নীলিমেশ দাসেরা আজ জনপ্রতিনিধি। আমি যেমন দূর্গা পূজা আসলে এলাকার বহু দুঃস্থ মানুষের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দিই। তেমনি ঈদের দিনেও তাই করি।
পূজা, ঈদ, বড়দিনে ফুল ফল মিষ্টি বিতরন করি। কারন আমার ধর্ম আমাকে শিখিয়েছে নিজ ধর্মকে ঠিক রেখে অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার। যার কারনেই জাকির হোসেন, নেহাল আলিরা দূর্গাপূজা, কালীপূজাতেও আমাদেরকে সবধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে। তেমনি অজিত সাহা, বাপি মজুমদারেরা ঈদের দিন মুসলিম ভাইদের সঙ্গে থেকে সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। আমার প্রতিদ্বন্দ্বি যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা নাকি বলে বেড়াচ্ছেন এলাকায় কোন উন্নয়ন হয়নি। ওদের এইসব কথা শুনে এলাকার মানুষেরা হাসছেন।
আমি বলি দিদির দেওয়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে তাদের পছন্দ মতো যে কোন হাসপাতাল কিংবা নার্সিং হোমে গিয়ে চোখের চিকিৎসাটা করিয়ে নিন। কোথায় ছিলেন রাহুলবাবু এতদিন? করোনা, লকডাউন, আমফানের সময়? আমফানের মতো বিপর্যয়ের পরেও আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সংস্কারের কাজ করেছি। বিদ্যুৎ পরিষেবা এনে দিয়েছি।”