দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দুই দফা নির্বাচনের পর ‘হাফ সেঞ্চুরি’ করে ফেলেছে বিজেপি,দাবি করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রামের মতো স্বৈরাচারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার।’ পাশাপাশি, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে নন্দীগ্রামে যাবতীয় অশান্তির জন্য তৃণমূল সুপ্রিমোকেই দুষেছেন দিলীপ।
ভোটমুখী বঙ্গে ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের দিন উত্তপ্ত হয়েছিল নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর গলায় দাবি করেছেন, তিনিই জিতছেন নন্দীগ্রামে। কিন্তু, সেই দাবিকে সামান্যতম ামল দিতে নারাজ দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার নিউটাউনে তিনি বলেন, ‘দু’দফা নির্বাচনের পর ৫০টি আসনে বিজেপি জয়ী হতে চলেছে, এ বিষয়ে নিশ্চিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ শাসকদল স্বৈরাচারী হয়ে পড়েছে। হত্যালীলা চালাচ্ছে। ওনাদের কাছে হার স্বীকার করে নেওয়াটা মুশকিল।’ পাশাপাশি নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘উনি বুঝতে পেরেছেন ওনার ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে। সেই কারণে তিনি নিজে বেরিয়ে গিয়ে গন্ডোগোল করার চেষ্টা করেছেন। একটা বুথে দুই ঘন্টা বসে বসে ছিলেন। এটা ওনাকে মুখ্যমন্ত্রী এবং একজন প্রার্থী হিসেবে শোভা দেয় না।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারবে বুঝে অন্য কোথাও দাঁড়াবেন বলে চিন্তা-ভাবনা করছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার যে ভাষণ দিয়েছেন তারপরও উনি বোধহয় আর সেই সাহস করবেন না।’ অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী আসনে বসার জন্য প্রস্তুত, দাবি দিলীপ ঘোষের। তাঁর কথায়, ‘আগে আমরা অভিযোগ করতাম। এখন ওনারা অভিযোগ শুরু করে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার বাংলায় আট দফায় ভোট। একুশের লড়াইয়ে বাংলার কুর্সি কার হাতে থাকবে? এর উত্তর মিলবে আগামী ২ মে। ওই দিনই ভোটের ফল ঘোষণা। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে এবার হিংসা রুখতে তৎপর হয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের মুখে পুলিশ-প্রশাসনে একঝাঁক বদল করা হয়েছে। ভোটের দিন ঘোষণার আগেই এবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এসে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। হিংসা রুখে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করা এবার কমিশনের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সুরক্ষাবিধির দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, এবারের ভোটে অন্যতম ব্যাটলফিল্ড নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারী দ্বৈরথের দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।