দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ জঙ্গলমহলে বিজেপি-শুভেন্দুর পাশাপাশি মমতার নিশানায় বামেরাও। কোতুলপুরের সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গদ্দার-হার্মাদরা এখন বিজেপির ওস্তাদ, ভুলবেন না। বিক্রমপুরের গ্রামে কী অত্যাচার চালিয়েছিল কখনও ভুলব না। অনেকে বাঁচতে নদীতে ডুবে বসে থাকত।’ এখানেই শেষ নয় মমতা অভিযোগ করেন, ‘চমকাইতলায় বাসে গুলি চালিয়েছিল, বাস ভাঙচুর করেছিল। সেই অবস্থায় মানুষকে উদ্ধার করে এনেছিলাম। ‘
এরপরই নেত্রীর তোপের লক্ষ্য গেরুয়া শিবির। জণগণের উদ্দেশে তাঁর আর্জি, ‘ এই নির্বাচনটা মনে রাখবেন, বাংলার নির্বাচন। আগের বার যাঁরা বিজেপি-কে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের বলব, বিজেপি ভোটের আগে বলেছিল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেবো, দিয়েছে কী? ওরা নির্বাচনের আগে অনেক কথা বলে, আর নির্বাচন শেষ হলে পালিয়ে যায়।’ মমতার মুখে শোনা যায়, ‘মোদীর গ্যাস ক্যাশ বেলুন’ মন্তব্য।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মমতার নিশানায় বিজেপি সরকার। তিনি বলেন, ‘গ্যাসের দাম ৪০০ থেকে ৯০০ করেছে বিজেপি। বিনামূল্যের চাল- ২ টাকার চাল, ফোটাতে লাগছে ৯০০ টাকার গ্যাস। বিনা পয়সায় গ্যাস দিতে হবে। দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট, কোল উন্ডিয়া, বিএসএনএল, সেল বন্ধ করে দেবে বলছে। সব বিক্রি হয়ে যাবে। খাবেন কি? আপনার ব্যাঙ্কে যা টাকা আছে, তাও বিজেপি খেয়ে নেবে।’
বিজেপি ইস্তেহারের প্রতিশ্রুতি নিয়েও এদিন আক্রমণ শানান নেত্রী। বলেন, ‘আমরা ৫০ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণ দিয়েছি পঞ্চায়েতে, ওরা ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ দিচ্ছে। আপনারা ভোট দিন, না হলে বিজেপি এনপিআর দেখাবে। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ওরা টুকলি করে। পরিবর্তন বাংলায় হবে না, পরিবর্তন দিল্লিতে হবে। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের হারাতে হবে। সব কেড়ে নিয়েছে ওরা। বিজেপি-কে চাই না।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি মানে ‘ভারতীয় জঘন্য পার্টি’। ওরা নোটবন্দির নামে মানুষের ক্যাশ লুঠ করেছে।’ এখানেই শেষ নয়, বলেন, ‘বিজেপি একটা জঘন্য দল। নরেন্দ্র মোদী, গদ্দারদের চোরের সর্দার। ওরা গেল না এল, তাতে কিছু এসে যায় না।’ আক্রমণের সুর আরও তীব্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। বলেন, ‘গদ্দারদের বোল্ড আউট করতে হবে। এমনভাবে ব্যাটিং করুন, বিজেপি আউট হবে। কোল, এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি হচ্ছে কেন বিজেপি জবাব দাও। রেল, এলআইসি বিক্রি হচ্ছে কেন বিজেপি জবাব দাও? পিএম কেয়ার, নোটবন্দির টাকা কোথায় গেল জবাব দাও। ভোট এলে অনেককে ৫০০, ১০০০ টাকা দেবে গদ্দাররা। টাকা নিয়ে রেখে দেবেন। ভোটটা আমাদের দেবেন।’