দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শুভেন্দু অধিকারীর কথা মনে পড়ে?
খড়দার সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলেছিলেন, আমার বাড়িতে পদ্ম তো ফুটবেই তোমার বাড়িতেও পদ্ম ফোটাব! তার পর এক প্রকার প্রায় ওপেন সিক্রেট হয়ে গিয়েছিল যে শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্ত্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘরের ছেলেকে হয়তো ঘরেই রেখে দিতে সফল হতে চলেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, গত প্রায় দেড় দু’মাস ধরে কার্ত্তিককে ধারাবাহিক ভাবে বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস। দিনে দু’বেলা নাকি তাঁকে ফোন করেছেন দিদি। তার পর রণে ভঙ্গ দিয়েছেন কার্ত্তিক।
তৃণমূলের একটি সূত্রের মতে, কার্ত্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হয়তো দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী আসন থেকে প্রার্থী করা হতে পারে। রাসবিহারীতে বর্তমান বিধায়ক হলেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সমস্যা হল, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরদের অনেকের সঙ্গে শোভনদেবের বনিবনার অভাব রয়েছে। তা ছাড়া দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়ের সঙ্গেও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক বোঝাপড়াও ভাল নয়।
শেষ পর্যন্ত যদি কোনও কৌশলের পরিবর্তন না হয় তা হলে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কোনও আসন থেকে প্রার্থী করা হতে পারে। এর আগেও শোভনদেববাবু বারুইপুর থেকে বিধায়ক ছিলেন। এ বার তাঁকে জেলার কোনও আসনে প্রার্থী করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। আজ বুধবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা প্রকাশিত হল এই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, আজ এ বিজেপিতে তো কাল অন্য আরএকজন তৃণমূলে। টলিপাড়ার রাজনীতিতে যোগ দেওয়া যেন থামছেই না। আজ তৃণমূলে যোগ দিতে ভবনে পৌঁছে গিয়েছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা।
এদিন দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্ত্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় সায়ন্তিকাকে নিয়ে তৃণমূল ভবনে ঢোকেন।
এর আগে এক ঝাঁক সিরিয়ালের মুখকে নিজেদের দলে শামিল করেছে তৃণমূল। হুগলির সাহাগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা মঞ্চে জোড়াফুলের পতাকা তুলে নিয়েছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক, সায়নী ঘোষ। আবার অন্যদিকে যশ দাশগুপ্ত শ্রাবন্তীরা যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। যশ আবার তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান রুহির ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাই তাঁর গেরুয়া যোগ নিয়ে অনেক জল্পনা তৈরি হয়েছিল।
এর আগে এক ঝাঁক সিরিয়ালের মুখকে নিজেদের দলে শামিল করেছে তৃণমূল। হুগলির সাহাগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা মঞ্চে জোড়াফুলের পতাকা তুলে নিয়েছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক, সায়নী ঘোষ। আবার অন্যদিকে যশ দাশগুপ্ত শ্রাবন্তীরা যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। যশ আবার তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান রুহির ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাই তাঁর গেরুয়া যোগ নিয়ে অনেক জল্পনা তৈরি হয়েছিল।
এমনিতে তৃণমূল জমানায় টলিপাড়ার রাজনৈতিক বিভাজন প্রকট। বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, স্টুডিওপাড়ায় বিশ্বাস ব্রাদার্সের একাধিপত্যে সবাই অতিষ্ট। গত কয়েক বছর ধরেই সেই বিভাজন প্রকট হয়। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার নেতৃত্বে অভিনেতা, অভিনেত্রীদের বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুরু হয়।
অন্যদিকে শ্রীলেখা মিত্র, বাদশা মৈত্র, চন্দন সেন, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অনীক দত্ত, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়রা আবার বাম শিবিরে। টালিগঞ্জ যেন সত্যিই এখন রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ।