দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃএকুশের ভোটের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে বাংলা। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কবে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হবে, সে নিয়ে জোর চর্চা চলছে। এই প্রেক্ষাপটে ভোটের দিনক্ষণের সম্ভাব্য সময়সূচি আগাম জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আজ সোমবার দুপুরে কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে এদিন সকালে অসমে সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনের জন্য গিয়েছিলেন তিনি। ভোট ঘোষণার দিনক্ষণ নিয়ে সেখানেই তাৎপর্যপূর্ণ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অসম, কেরল, তামিলনাড়ু ও পুডুচেরিতে এ বার ভোট হওয়ার কথা। এক সঙ্গেই এই পাঁচ রাজ্যের ভোট ঘোষণা হবে। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, আমি জানি আপনারা ভোট ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। আগের বার ৪ মার্চ ভোট ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। এ বারও সম্ভাবনা দেখছি মার্চের প্রথম সপ্তাহে ভোট ঘোষণা হয়ে যাবে”।
এর পরই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধরে নিলাম যে ৭ মার্চ ভোটের দিন ঘোষণা করা হবে। তার আগে যতবার সম্ভব বাংলা, কেরল, তামিলনাড়ু , অসমে যাব।
৪ মে থেকে সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। অর্থাৎ তার আগে ভোট পর্ব মিটিয়ে ফেলতে হবে। তাই এ বার অনেকে মনে করছিলেন, যে ভোট ঘোষণা হয়তো ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়াতেই হয়ে যাবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তা হচ্ছে না।
Launch of various projects for Assam’s growth. #UnnataAxom https://t.co/sUkym3BHae
— Narendra Modi (@narendramodi) February 22, 2021
কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্য ওয়াড়ি প্রস্তুতি পর্ব এখনও শেষ হয়নি। বাংলাতেও তা হয়নি। তা শেষ পর্বে রয়েছে। ২৫ তারিখ সব জেলা নির্বাচন অফিসার, পুলিশ সুপার, ডিআইজিদের বৈঠকে ডেকেছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। সেই বৈঠকের পর তিনি দিল্লি ফিরে যাবেন। তার পর মার্চের প্রথম সপ্তাহে ভোট ঘোষণা করা হবে।
প্রসঙ্গত,গত শনিবার রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় বাহিনী। কলকাতা স্টেশনে চার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছেছে। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বীরভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমানে এক কোম্পানি করে বাহিনী থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে টহল দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটের আগে যেসব এলাকা উত্তেজনাপ্রবণ, সেখানে টহল দিতে পারে বাহিনী। সাধারণ মানুষের মনোবল বাড়ানোর কাজ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানা যাচ্ছে, রাজ্যে মোট ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। ধাপে ধাপে মোট ১২৫ কোম্পানি বাহিনী আসবে রাজ্যে।
উল্লেখ্য, একুশের ভোটযুদ্ধে বাংলাকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। একুশের ভোটে বাংলায় এবার তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। বাংলায় ‘পরিবর্তনের পরিবর্তন’ এনে পদ্মফুল ফোটাতে মরিয়া গেরুয়া বাহিনী। অন্যদিকে, পদ্মশিবিরকে রুখে বাংলার কুর্সি ধরে রাখতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। এই প্রেক্ষাপটে রোজই শাসক-বিরোধী বাগযুদ্ধে সরগরম হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। ভোটের আগে প্রায়ই বাংলায় আসছেন অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, জে পি নাড্ডারা।এই প্রেক্ষিতে ‘বহিরাগত’ তমকা দিয়ে সোচ্চার হয়েছে ঘাসফুল শিবির। ‘বহিরাগত’দের বাংলা দখল করতে দেওয়া হবে না বলে সরব হয়েছেন স্বয়ং মমতাও।