দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ গত ডিসেম্বর মাসে বণিকসভা সিআইআই-এর সদস্যদের সঙ্গে এক প্রাক-বাজেট অনলাইন বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন, ‘অতিমারীর মাঝে এইভাবে বাজেট তৈরি ভারতবর্ষ গত ১০০ বছরে দেখেনি।’ দেখুন ভিডিও:
সীতারামনের ওই উক্তি কোভিড অতিমারীর মাঝে অনলাইনেই শলা-পরামর্শের মাধ্যমে এ বছর ‘পেপারলেস’ বাজেট তৈরি প্রসঙ্গে, নাকি তাঁর ওই মন্তব্য প্রকৃতই শতাব্দীর সেরা বাজেট দেশবাসীকে উপহার দেওয়ার ইঙ্গিত সেটা বোঝা যাবে আজ বেলা ১১ টার পর। সীতারামন আজ সংসদে তাঁর তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন। বাজেট সংক্রান্ত সমস্ত আপডেটের জন্য নজর রাখুন ‘দেশের সময়‘ ডিজিটালে:
অর্থমন্ত্রীর বাজেট ভাষণ: একনজরে…
আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ব্যাপক সংকুচিত হয়েছে।
আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পগুলি কাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তা করেছে। ২৭ লক্ষ কোটির বেশি আত্মনির্ভর প্যাকেজ ঘোষিত হয়েছে।
২০২১ সালের কোভিডের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।
কোভিডের বিরুদ্ধে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এই বাজেটেই আর্থিক পুনরুজ্জীবনের সূচনা হবে।
স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় বাড়ানো হল ব্যয়বরাদ্দ।
২ লক্ষ ৮৩ হাজার কোটি টাকা স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ।
স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ল ১৩৭ শতাংশ।
পরিবেশ দূষণ দূর করার জন্য
টিকার জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা
প্রতিটি জেলায় হবে স্বাস্থ্য ল্যাবরেটরি।
বস্ত্রশিল্পের জন্য আলাদা পার্ক তৈরি হবে।
কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
এই প্রথমবার বাজেট হল ‘পেপারলেস’। অর্থাৎ অন্যান্য বছর অর্থমন্ত্রীরা যেমন কাগজ দেখে বাজেট পড়েন, এবার তা হল না। অর্থমন্ত্রী বাজেট ভাষণ দিলেন ট্যাবলেট কম্পিউটার দেখে। সেই কম্পিউটার ভারতে তৈরি। পরে অনলাইনেও পাওয়া যাবে বাজেটের সফট কপি।
২০২০ সালের মার্চের শেষে দেশ জুড়ে লকডাউন জারি হয়। তার ফলে কার্যত বন্ধই হয়ে যায় উৎপাদন। ২০২০-২১ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে মোট জাতীয় উৎপাদন সংকুচিত হয় ২৩.৯ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে ২০২০-২১ সালের আর্থিক বছরে অর্থনীতি ৯.৬ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর মধ্যে আশার কথা শুনিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। ওই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, ২০২১ সালের ভারতের আর্থিক বিকাশ হবে ৫.৪ শতাংশ হারে। অন্যদিকে আই এম এফ বলেছে, জিডিপি-র বিকাশ হবে ১১.৫ শতাংশ হারে। ব্লুমবার্গের ধারণা, বিকাশ হবে ৯.২ শতাংশ হারে।