দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ উন্নয়নে অনুপ্রাণিত করে বিরোধী শিবিরের নেতা বিধায়ককে দলে সামিল করা এক সময়ে জলভাত করে ফেলেছিল তৃণমূল। রবিবাসরীয় দুপুরে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী হুঙ্কার দিলেন ফেব্রুয়ারিতে দুই জেলায় তৃণমূলের সংগঠন ফাঁকা করে দেবেন তিনি তথা তাঁর দল বিজেপি।
শুভেন্দু এদিন বলেন, “রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বাণী সিংহ রায়, রথীন চক্রবর্তী, অনুপম ঘোষরা তৃণমূল ছাড়ার পর হাওড়ায় কী হতে চলেছে তা সবাই আঁচ করতে পারছেন। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূল কংগ্রেস ফাঁকা করে দেব। এতটাই যে তৃণমূলের প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করার লোক পাবে না।”
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা বিজেপিতে সামিল হওয়ার পর এদিন ডুমুরজলায় আনুষ্ঠানিক সভা হয়। সেই সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তৃতা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। ডুমুরজলার মাঠে এদিন ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো।
তবে বিজেপি সূত্রের মতে, এটাই শেষ নয়। আগামী সপ্তাহে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে হাওড়া সদরে বড় সভা হবে। সেই সভায় তৃণমূলের এক বিধায়ক তথা বড় নেতা যোগ দিতে পারেন। তার পৌরোহিত্য করবেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে থাকবেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরই সমান্তরালে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও কলকাতায় তৃণমূল থেকে নেতা বিধায়ক সামিল করার প্রক্রিয়াও চলবে বলে শুভেন্দুদের দাবি। এখনও পর্যন্ত যা খবর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় অন্তত ২ জন বিধায়ক যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। সেই সঙ্গে জেলা পরিষদের একাধিক সদস্য, ব্লক ও জেলা স্তরের নেতা বিজেপিতে সামিল হতে পারেন।
বিজেপির একটি সূত্রের মতে, একদা তৃণমূলের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায় ও শুভেন্দু পারস্পরিক তালমিল করে এই সব যোগদান মেলার নেতৃত্ব দিতে পারেন।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, দক্ষিণ কলকাতাতেও তৃণমূলের মাদার ও যুব সংগঠনের ফাটল ধরানোর চেষ্টায় রয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির সূত্রের মতে, দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূলের একটা বড় অংশ প্রস্তুত রয়েছে যোগদানের জন্য। তবে তাঁদের আপাতত ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ভবানীপুর এলাকার এক তৃণমূল নেতা তথা দিদির কাছের মানুষ বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। সেই সময়ে এঁদেরও সামিল করা হবে বিজেপিতে।