দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ: সোমবার নন্দীগ্রামে মাস্টারস্ট্রোক খেলেছেন। রাজ্য রাজনীতির পারদ এক লাফে চড়েছে অনেকটা। আজ, মঙ্গলবার দুপুর ১ টা নাগাদ পুরুলিয়ার হুটমুড়া স্কুলের মাঠে সভা করতে চলেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে পুরুলিয়ার হারানো জমি পুনরুদ্ধার, অন্য দিকে জেলায় ভাঙন রোধ, নানা কারণেই এই সভাকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষবার পুরুলিয়া এসেছিলেন ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পুরুলিয়া শহরে রোড শো ও সভা করেন তিনি। তার পর তিরতির করে অনেক জল বয়েছে কাঁসাই নদীতে। পুরুলিয়ার বহু চেনা মুখ যোগদান করেছে বিজেপিতে। দলের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টেও উঠে এসেছে বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার নাম। পুরুলিয়ার রুক্ষ জমিতে পদ্মফুল ফোটাতে তেড়েফুড়ে নেমেছেন শুভেন্দুও। কাজেই এদিনের সভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন তা দেখতে মুখিয়ে আছে পুরুলিয়ার তৃণমূল কর্মীরাও।
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, পুরুলিয়া পুনরুদ্ধারে প্রথম তাসটি মমতা খেলে রেখেছেন দিন কয়েক আগেই। আসরে নামিয়েছেন জঙ্গলমহলের মুখ ছত্রধর মাহাতকে। ছত্রধর আক্রমণ শানাচ্ছেন জায়গায় জায়গায়। দিন কয়েক আগেই একদা পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর বাঘমুন্ডি থেকে বলে এসেছেন, লোকসভা ভোটে ভুল বুঝিয়ে ভোট লুঠ করেছে বিজেপি। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামের সভা, বিশেষত নন্দীগ্রাম থেকে ভোটলড়ার সিদ্ধান্ত দলের ভিতর নতুন করে অক্সিজেন সরবরাহ করেছে, এ বিষয়ে অতিনিন্দুকেরও সন্দেহ নেই। এই জোড়া ফ্যক্টরকে এখন কতটা কাজে লাগাতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটাই দেখার। আগামী কাল শেষ হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দফার জেলা সফর। বেলগুমা পুলিশ লাইন হেলিপ্যাড থেকে কলকাতায় রওনা দেবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী দিন কয়েক আগে পুরুলিয়ার কাশীপুর থেকে বলে গিয়েছেন, নির্বাচনী বিধি চালু হলে তৃণমূল প্রচারের লোক পাবে না। শুভেন্দু তত্ত্বকে ভুল প্রমাণ করে মাঠে নেমে কাজ করার জন্য দলকে কতটা উজ্জীবীত করতে পারেন তিনি এই সভা থেকে, তা দেখতে চায় যুযুধান শিবিরও।