দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শনিবার গোটা দেশজুড়ে কোভিড টিকাকরণ শুরু হয়েছে। বেশ কয়েক জায়গায় দেখা গিয়েছে প্রথম দিনই তৃণমূলের বিধায়করা বাহু বাড়িয়ে টিকা নিয়ে নিয়েছেন। রবিবার ধর্মতলার চা চক্র থেকে তা নিয়েই শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, “চাল, আমফানের টাকার মতো ভ্যাকসিনেও ভাগ বসাচ্ছেন তৃণমূলের বিধায়ক-নেতারা। সেই জন্যই প্রয়োজনের তুলনায় কম পড়েছে ভ্যাকসিন।”
জানা গিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি জেলাশাসকদের বলেছেন, যা দরকার তার চেয়ে কম ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে কেন্দ্র। গতকাল এ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ক্রেডিট নিতে পারেননি বলে এখন বলছেন কেন্দ্র কম পাঠিয়েছে। ওটা আপনাকে ভাবতে হবে না!
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “নেহাত ভ্যাকসিন বাড়ির গ্যারাজে রাখা যায় না! না হলে দেখতেন তাই করতো। তৃণমূল এমনই।”
গত কাল পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে টিকা নেন শাসকদলের বর্তমান বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল ও প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা। কাটোয়ায় টিকা নেন তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই নেতারা কোনও না কোনও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য। অতএব যেন ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মী। সবার আগে টিকা পাওয়া যেন তাঁদের অধিকার।
অন্যদিকে নিয়ম মেনে সব প্রস্তুতি নিয়ে ভ্যাক্সিন নিতে এসেছিলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী। তাঁরা প্রত্যেকেই ফ্রন্টলাইন কোভিড ওয়ারিয়র। তাঁরা জানান, করোনা রোগীদের প্রথমদিন থেকেই পরিষেবা দিয়েছেন তাঁরা। একেবারে বেড সাইড কেয়ার দিয়ে এসেছেন। সামনে থেকে কাজ করে গেছেন। তারপরেও তালিকায় নাম থাকলেও শেষমুহূর্তে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, ‘‘এটা আমার জানা নেই। এই বিষয়ে বলতে পারবেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’’ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সুহৃতা পাল বলেন, ‘‘ওঁদের ডাকা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু তালিকায় নাম না থাকায় ওঁদের টিকা দেওয়া হয়নি। ওঁরা পরের দিন টিকা পাবেন।’’