দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনার জেরে বিধ্বস্ত গোটা দুনিয়া। তার মধ্যেই ভারতের চিন্তা বাড়িয়েছে বার্ড ফ্লু। ন’টি রাজ্যে বার্ড ফ্লু ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। জারি হয়েছে সতর্কতাও।
বার্ড ফ্লু আসলে কী? বার্ড ফ্লু বা আভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা শুধু যে পাখিদের জন্য মারাত্মক, তা নয়। হু বলছে, মানুষ বা পশু বাহকের সংস্পর্শে এলে তাদেরও ক্ষতি হতে পারে। তবে এই ভাইরাসের বেশিরভাগ প্রকৃতি শুধু পাখিদের মধ্যেই দেখা যায়। ১৯৯৭ সালে প্রথম মানুষের মধ্যে এই এইচ৫এন১ সংক্রমণ দেখা যায়।
কীভাবে বুঝবেন এইচ৫এন১ দ্বারা সংক্রামিত হয়েছেন? কাশি,ডায়রিয়া,শ্বাসকষ্ট,১০০ ডিগ্রির ওপর জ্বর,মাথা যন্ত্রণা,পেশীতে ব্যথা,সর্দি,গলা ব্যথা ,অস্থিরতা৷
কীভাবে মানুষ সংক্রামিত হন? বার্ড ফ্লুর অনেক ধরন রয়েছে। এইচ৫এন১ মানুষের মধ্যেও সংক্রামিত হতে পারে। ১৯৯৭ সালে হংকংয়ে প্রথম এই সংক্রমণ দেখা যায়। ৮০ জন আক্রান্ত হন। মারা যান এক জন। বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্ত মুরগী বা পাখির মল, নাক, চোখ বা মুখ থেকে যে রস পড়ে, তার সংস্পর্শে এলে মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। তবে মানুষের থেকে মানুষের শরীরে এই ভাইরাস সংক্রমণের হার খুবই কম।
কাদের এই সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি?পোলট্রির কর্মী বা পালক স্বাস্থ্যকর্মী পশুচিকিৎসক ঠিকভাবে রান্না না করে মাংস বা ডিম খেলে ৷
চিকিৎসা কী? এক এক ধরনের বার্ড ফ্লুর উপসর্গ এক এক রকম। চিকিৎসাও এক এক রকম। সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়।
প্রতিরোধের উপায়? কিছু বিষয়ে সাবধান হলে বার্ড ফ্লু–র সংক্রমণ রুখতে পারবেন।
সংক্রামিত পাখির সংস্পর্শে যাবেন না
খোলা বাজারে না যাওয়া, ভালো
মাংস ভালো করে রান্নার পর খান,
ডিম সুসিদ্ধ করেই খান
প্রয়োজনে টিকা নিতে পারেন ।