দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ জানুয়ারির ৭ তারিখে নন্দীগ্রামের তেখালি ব্রিজ লাগোয়া মাঠে সভা করার কথা ছিল তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু কর্মসূচি ঘোষণা করার পরেও তা বাতিল করে তৃণমূল। বলা হয়, রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় দিদির কর্মসূচি স্থগিত করা হল। অখিলবাবু সুস্থ হলেই নন্দীগ্রামে যাবেন মমতা।
সূত্রের খবর, সেই পরিবর্তিত দিন হতে চলেছে ১৮ জানুয়ারি। ওই দিন নন্দীগ্রামে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এ ব্যাপারে এখনও দলীয় তরফে কিছু জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে, অখিল গিরি অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আমাগী ১২-১৪ দিনে তিনি আরও খানিকনটা চাঙ্গা হয়ে যাবেন। তারপরেই নন্দীগ্রাম যাবেন দিদি।
প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি সকালে নন্দীগ্রামে কর্মসূচির কথা সেই ১০ নভেম্বর ঘোষণা করে রেখেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তখন তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে শুভেন্দু তৃণমূলের বিরুদ্ধে কতটা আগ্রাসী হয়ে বক্তৃতা দিচ্ছেন জেলায় জেলায় ঘুরে তা বঙ্গবাসীর দেখা হয়ে গিয়েছে। মমতার ৭ জানুয়ারির সফর ঘোষণা হতেই কাঁথির সভা থেকে ধুভেন্দু বলেছিলেন, তিনি ৮ তারিখে সভা করবেন।
কাঁথির জনসভা থেকে তরুণ বিজেপি নেতার বক্তব্য ছিল, “শুনলাম ৭ তারখে মাননীয়া আসবেন। তা ভাল! উনি এলে ভাঙা রাস্তাগুলো মেরামত হবে। আমার জেলারই লাভ।” তাঁর পরেই শুভেন্দু হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, “আমি ৮ তারিখে নন্দীগ্রামে সভা করব। মাননীয়া যা যা বলে যাবেন, ধরে ধরে তাঁর জবাব দেব।” এও বলেছিলেন, “তুমি লোক জড়ো করবে পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে। আমি লোক জোগাড় করব ভালবাসা দিয়ে।”
কাকতালীয় ভাবে তারপরেই অখিল গিরির করোনার কারণে মমতার সফর বাতিল করে তৃণমূল। বলা হয় ওই দিন মমতার পরিবর্তে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি যাবেন। তারপর শুভেন্দু কটাক্ষ করে বলেছিলেন, “কেউ কেউ তো প্রোগ্রাম ঘোষণা করেও পগারপাড়! যেদিন সভা করবেন তারপর আবার সেখানে সভা করব।”