দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আপাতত একটি স্টেন্ট বসানোর ফলেই বেশ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ফলে তাঁর বাকি দুটি ধমনীতে যে ব্লকেজ, সেখানে এখনই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হচ্ছে না। তা এই মুহূর্তে করার প্রয়োজন বুঝছেন না চিকিতসকরা। আজ সোমবার দুপুরে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী পরশু অর্থাত বুধবারই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
সৌরভের হৃদরোগের চিকিৎসায় তৈরি করা বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিতসকরা সব দিক খতিয়ে দেখে, বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সৌরভের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন সে বৈঠকে। যদিও হাসপাতালের তরফে এ কথা জানানোর পাশাপাশি এ-ও বলা হয়েছে, চূড়ান্ততম সিদ্ধান্ত আগামী কালই ঘোষণা করা হবে।
হাসপাতাল জানিয়েছে, সৌরভের চিকিতসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডে আছেন, ডক্টর সরোজ মণ্ডল, ডক্টর আফতাব খান, ডক্টর এসবি রায়, ডক্টর সপ্তর্ষি বসু, ডক্টর ভবতোষ বিশ্বাস, ডক্টর সৌতিক পান্ডা, ডক্টর আশিস পাত্র, ডক্টর পলাশ কুমার, ডক্টর মালতী পুরকাইত, ডক্টর রূপালি বসু। এছাড়াও ভিডিও কলে সৌরভকে দেখেছেন ডক্টর দেবী শেঠি, ডক্টর রমাকান্ত পাণ্ডা। ফোনে কনসালটেশন দিয়েছেন ডক্টর স্যামুয়েল ম্যাথু। এছাড়াও ডক্টর অশ্বিন মেহতা (মুম্বইযের যশলোক হাসপাতাল), ডক্টর শামিম কে শর্মা (নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতাল)-এর মতামত নেওয়া হয়েছে।
সৌরভের হার্টে রাইট করোনারি আর্টারিতে আগেই স্টেন্ট বসানো হয়েছে আপতকালীন তৎপরতায়। এছাড়াও আরও দুটি ব্লকেজ রয়েছে তাঁর ধমনীতে। সেগুলিরও চিকিৎসা করতে হবে ভবিষ্যতে। তবে চিকিৎসকদের সম্মিলিত অভিমত হল, এখনই যেহেতু সৌরভের আর কোনও রকম সমস্যা নেই, বুকে ব্যথাও নেই, ওষুধের ফলে ভাল সাড়া দিচ্ছেন তিনি, তাই এই মুহূর্তে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে বাকি দুটি স্টেন্ট বসানো জরুরি নয়।
তাই বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ছেড়ে দেওয়া হতে পারে তাঁকে। তবে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে থাকবেন সৌরভ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবারই হাসপাতালে গিয়ে সৌরভকে দেখে এসেছিলেন। গিয়েছিলেন তৃণমূলের অন্যান্য মন্ত্রী, নেতারাও। রবিবারফোন করে সৌরভের স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কাছে সৌরভের দ্রুত আরোগ্য কামনা করার পাশাপাশি সব রকম ভাবে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে সৌরভের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। বোর্ড সচিব জয় শাহ আজ সোমবার, সৌরভকে দেখতেও আসতে পারেন। তাঁর সঙ্গে থাকতে পারেন বোর্ডের প্রাক্তন প্রধান এবং বিজেপির আর এক শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এখন আর সরাসরি বোর্ড প্রশাসনে না থাকলেও অনুরাগের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক সৌরভের। তাঁর বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার নেপথ্যে অনুরাগের বড় ভূমিকাও ছিল বলে শোনা যায়।