দেশের সময়: বনগাঁ লোকসভা কমিটির পক্ষ থেকে রবিবার ‘বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট কার্নিভাল’-এর আয়োজন করে তৃণমূল ৷ রবিবার সেই কার্নিভালে সামিল হয়ে বিজেপি নেতৃত্বকে হুঁশিয়ার করে বলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন,‘‘এখন থেকে মারলে পাল্টা মার দেওয়া হবে পাড়ায় পাড়ায়। বিজেপিকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’’ নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা নিয়ে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে বিজেপি ভাঁওতা দিচ্ছে দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘শান্তনুর উচিত ছিল বিজেপিকে পরিত্যাগ করা।’’ পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, ‘‘আমরা তো বলেছি, যাঁদের ভোটার কার্ড আছে, তাঁরাই নাগরিক। আলাদা করে নাগরিকত্ব নেওয়ার কিছু নেই।’’
তৃণমূলের জেলা কোঅর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘ভয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বনগাঁ মহকুমায় আসা বার বার পিছিয়ে দিচ্ছেন। কারণ তিনি জানেন, মতুয়ারা তাঁর সভায় থাকবেন না।’’
বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল বলেন, ‘‘বিজেপি মারের রাজনীতি করে না। কারা মারছে, বাংলার মানুষ তা দেখতে পাচ্ছেন।’’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শীঘ্রই ঠাকুরনগরে আসবেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
তৃণমূলের কার্নিভালে অনেকেরই মুখে ছিল না মাস্ক, মাথাও হেলমেটহীন।
বনগাঁ শহরে রবিবার এই কার্নিভালে সামিল হন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পুরপ্রশাসক শঙ্কর আঢ্য, প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর, তৃণমূলের জেলা কোঅর্ডিনেটর গোপাল শেঠ, বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস প্রমুখ। বাটামোড় থেকে কার্নিভাল শুরু হয়। হাজার হাজার বাইকের ভিড়ে শহর কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এদিন। হেলমেট, মাস্ক পড়তে তেমন ভাবে দেখা যায়নি কর্মী- সমর্থকদের বেশিরভাগের। যশোর রোড ধরে প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করে কার্নিভাল শেষ হয় গাইঘাটা থানার মোড় পর্যন্ত । সভা হয় সেখানে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে ট্যাবলো ছিল। মতুয়াদের নিয়ে আলাদা ট্যাবলো ছিল। নয়া নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবি তোলা হয় এদিনের সভায়।