দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ জলপাইগুড়ি পৌঁছেই সমস্যা মিটিয়ে একসঙ্গে চলার জন্য দলের কর্মীদের কড়া নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তরবঙ্গ সফরের প্রথম দিনে বিকেল তিনটে নাগাদ জলপাইগুড়িতে এসে পৌঁছন তৃণমূল সুপ্রিমো। বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে জলপাইগুড়ি পুলিশলাইনে হেলিপ্যাডে নেমে সোজা পূর্ত দফতরের ইন্সপেকশন বাংলোতে পৌঁছে যান তিনি। সেখানে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার এই দুই জেলার তৃণমূল নেতা, বিধায়ক ও পুরসভার চেয়ারম্যান এবং প্রশাসকদের নিয়ে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে গৌতম দেব বলেন, ‘‘এটা দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠক ছিল। আমাদের দল গণতান্ত্রিক দল। দল করতে গিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ না খুলে দলের অভ্যন্তরে সেই সমস্যা মিটিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী। পাশাপাশি দুয়ারে সরকার নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাওয়ার জন্য সর্বস্তরের তৃণমূল কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেছেন। চা বলয়ে চা সুন্দরী প্রকল্প নিয়ে প্রচার জোরদার করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।”
এদিনের কোর কমিটির সভায় সবাই উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বোস। এবিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আসলে এই মিটিং এ যাওয়ার জন্য গতকাল কোভিড টেস্ট হয়েছিল। তার রিপোর্ট আমার হাতে আসতে দেরি হওয়ায় আমি আজকের মিটিংয়ে যেতে পারলাম না।’’
আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ময়নাগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। নেত্রী তাঁকে কী নির্দেশ দিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন করলে কোনও উত্তর না দিয়ে চলে যান তিনি। গত দু’দিন ধরে পিকের টিমের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্তদেববাবু।