‘মা দুর্গার কৃপায় ডায়মন্ডহারবারে পৌঁছেছি’,এবার মমতাকে ছুটি দিয়ে দিন:নাড্ডা

0
1676

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডায়মন্ডহারবারে নাড্ডার রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল, কিন্তু সেখানে যাওয়ার পথে শিরাকোল, সরিষা-সহ একাধিক জায়গায় তাঁর কনভয় আটকানো হয়। বিজেপির অভিযোগ, শাসক দলের আশ্রিত গুন্ডারা বিক্ষোভের নামে নাড্ডার কনভয়ের একাধিক গাড়ির উপর লাঠি, ইট নিয়ে হামলা চালায়। পৌঁছনোর পরে বক্তৃতা দেন জেপি নাড্ডা।

আসার সময়ে যে দৃশ্য দেখলাম তাতে বোঝা যাচ্ছে, মমতাজির আমলে বাংলায় অরাজকতা ও অসহিষ্ণুতার শিখরে পৌঁছে গিয়েছে।
মা দুর্গার কৃপায় ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছেছি। তৃণমূলের ক্যাডাররা আটকানোর কোনও চেষ্টা বাদ দেয়নি। কিন্তু এই গুন্ডারাজের পতন অনিবার্য।

হাইলাইটস: আসার সময়ে যে দৃশ্য দেখলাম তাতে বোঝা যাচ্ছে, মমতাজির আমলে বাংলায় অরাজকতা ও অসহিষ্ণুতার শিখরে পৌঁছে গিয়েছে।


মা দুর্গার কৃপায় ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছেছি। তৃণমূলের ক্যাডাররা আটকানোর কোনও চেষ্টা বাদ দেয়নি। কিন্তু এই গুন্ডারাজের পতন অনিবার্য।


দেখুন, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহার গাড়ি। আমি সুরক্ষিত রয়েছি, কারণ আমার গাড়ি বুলেটপ্রুফ। কিন্তু এমন গাড়ি নেই যার উপর হামলা হয়নি। এই গুন্ডারাজকে পরাস্ত করতেই হবে।

বিরোধীদের মেরেধরে ভয় দেখিয়ে খতম করার এই মানসিকতাকে পরাস্ত করতে হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী ভাষায় কথা বলছেন! তুইতোকারি করে বিরোধীদের আক্রমণ করছেন, এটা কি বাংলার সংস্কৃতি!


এই ডায়মন্ডহারবারের সাংসদকে পার্লামেন্টে দেখাই যায় না।
পুলিশের রাজনীতিকরণ হয়েছে। প্রশাসনের রাজনীতিকরণ হয়েছে। প্রশাসন বলে কিছু নেই। কোলাপ্স করে গেছে।


আমার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী না থাকলে কী অবস্থা হত কে জানে! এখানকার বিজেপি কর্মীদের কী অবস্থা তাও আন্দাজ করতে পারছি।


মোদীজি এখানকার মানুষের কল্যাণের জন্য কী করেননি। আমফানের ত্রাণের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন।

কী বলা হচ্ছে, চাল চোর আর ত্রিপল চোর। চুরি করা চাল কাদের ঘরে পাওয়া গেছে? তৃণমূলের ঘরে।


আমফানের টাকা চুরি হয়েছে কিনা? তার পর হাইকোর্ট সিএজি দিয়ে অডিট করতে বলেছে। তা চ্যালেঞ্জ করে মমতাজি সুপ্রিম কোর্টে গেছেন। কেন গেছেন? কারণ চুরি ধরা পড়ে যাবে।


কৃষকদের ৬ হাজার টাকা করে পাওয়া কথা ছিল কিনা? কিন্তু মমতাজি আটকে দিয়েছেন। বলেছেন, কৃষকদের নয় আমাকে দিয়ে দাও, কৃষকদের নয় আমাকে দাও।
আবাস যোজনায় চার হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র দিয়েছে। কিন্তু মমতাজি বলেছেন, করব না। কারণ, কাটমানি কাটমানি কাটমানি।

আবাস যোজনায় চার হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র দিয়েছে। কিন্তু মমতাজি বলেছেন, করব না। কারণ, কাটমানি কাটমানি কাটমানি।
আপনাদের লোটায় মমতাজির ফুটো থাকে। যা টাকা পাঠায় তা ফুটো দিয়ে বেরিয়ে যায়, কাটমানি, কাটমানি কাটমানি।


কিন্তু এখানে পরিবর্তন আনতে হবে। উপরে নরেন্দ্র মোদী সরকার থাকবে, এখানে বিজেপি সরকার থাকবে। তবেই তো বাংলার উন্নয়ন হবে।


বাংলায় বিশুদ্ধ বিজেপি সরকার গঠন হতে চলেছে। ওই দিন আর দূর নয়। নতুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মতের আদানপ্রদান হবে, আইনের শাসন ফের কায়েম হবে বাংলায়।

ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন জে পি নাড্ডা। মমতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন  বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। কাটমানি থেকে আমপানে কেন্দ্রের টাকায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তাঁর কনভয়ে হামলা চালানো হয়েছে। সেই হামলা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা করেছে বলেও অভিযোগ তোলেন নাড্ডা।

আমপানের ত্রাণের জন্য কেন্দ্রের দেওয়া টাকায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নড্ডা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। কিন্তু সেই টাকা ক্ষতিগ্রস্তরা পাননি। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত বলে দিয়েছে, সিএজি-কে দিয়ে তদন্তত করানোর জন্য।’’ রাজ্যে আয়ূষ্মান ভারত চালু না করার বিরুদ্ধেও এদিন সরব হন নাড্ডা৷

অভিষেকের পাড়ায় ধুন্ধুমার! অমিত শাহকে চিঠি দিলীপের:

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ডায়মন্ড হারবার সফর ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল। বারবার নাড্ডার কনভয় থামিয়ে চলল বিক্ষোভ। তাঁর গাড়ি লক্ষ করে ছোড়া হল লাঠি, পাথর। ভাঙচুর করা হয়েছে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ আরও বেশ কয়েকজন নেতার গাড়ি। শাসক দলের লোকেরাই এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি সভাপতির নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথভাবে করা হয়নি বলে অভিযোগ জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে দু’দিনের জন্য বাংলা সফরে এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবারের কর্মসূচিতে বেছে নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারকে। দিনভর ডায়মন্ড হারবারে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। তবে সেখানে যাওয়ার পথেই তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হল। শিরাকল, সরিষা-সহ বিভিন্ন জায়গায় নাড্ডার কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় মানুষ। কনভয় লক্ষ করে লাঠি ও পাথর ছোড়া হয়। বিজেপি সভাপতি জেড প্লাস নিরাপত্তা পান। তাই তাঁর গাড়ির কাচ ভাঙেনি। তবে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ বিভিন্ন নেতার গাড়ির কাচ ভাঙচুর করা হয়। সংবাদমাধ্যমের গাড়ি ও একটি বেসরকারি বাসেও ভাঙচুর করা হয়েছে।

এই ঘটনার পরই নাড্ডার নিরাপত্তার গুরুতর গাফিলতির অভিযোগে সোচ্চার হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতিদিলীপ ঘোষ  সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজ্যে দলের সভাপতি জেপি নাড্ডার সফরের সময় নিরাপত্তার গাফিলতি হয়েছে। গতকালও তাঁর ইভেন্টের জায়গায় কোনও পুলিশ ছিল না। আমি গোটা ব্যাপারটি অমিত শাহ ও এখানকার প্রশাসনকে চিঠি লিখে জানিয়েছি।’

 

Previous articleইন্ডিয়ান আইডল সিজন১২-র মঞ্চে বনগাঁর অরুনিতার গানে মুগ্ধ হলেন হিমেশ, নেহা কক্কর ও বিশাল
Next articleআত্মনির্ভর ভারতের সাক্ষী থাকবে নতুন সংসদ ভবন:‌ শিলান্যাসের পর নরেন্দ্র মোদী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here