হার্দিকের জোড়া ছক্কায় রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয় ভারতের,টি২০সিরিজ পকেটে পুরল কোহলি ব্রিগেড

0
1698

অস্ট্রেলিয়া: ১৯৪/৫ (২০ ওভারে)  
ভারত: ১৯৫/৪ (১৯.৪ ওভারে)

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ : হার্দিক পান্ডিয়ার দুটো বিশাল ছক্কায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতে নিল ভারত। এই জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ পকেট পুরল কোহলি ব্রিগেড। ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৪ রান। একদিকে শ্রেয়স আইয়ার ছন্দে থাকলেও ঠিকমতো ব্যাটে বলে হচ্ছিল না হার্দিকের। তবু চাপের মুখে জোড়া ছক্কায় ম্যাচ জেতালেন তিনিই।

টি ২০ ক্রিকেটে টানা ৯ ম্যাচ জিতল ভারত। একদিনের সিরিজ হারলেও টি ২০ সিরিজ নিজেদের দখলে নিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার ১৯৪ রান তাড়া করতে গিয়ে ভাল খেলল ভারতের টপ অর্ডার। শিখর ধাওয়ান ও লোকেশ রাহুল শুরুটা করলেও জয় এল সেই হার্দিকের ব্যাট থেকেই। দু’বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতল ভারত। সেই সঙ্গে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ ম্যাচের আগেই টি ২০ সিরিজ জিতলেন কোহলিরা।
১৯৪ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুরন্ত করেন ভারতের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও শিখর ধাওয়ান। তাঁদের মধ্যে বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল গব্বরকে। অজি পেস অ্যাটাককে ছারখার করে দেন তাঁরা। রাহুল ২২ বলে ৩০ করে আউট হন। ধাওয়ানের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েন অধিনায়ক কোহলি। দু’জনে মিলে রানের গতি সচল রাখেন।

প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও এদিন নিজের হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। ৩৬ বলে ৫২ করে জাম্পার বলে আউট হন তিনি। কোহলিও এদিন ভাল ব্যাটিং করেন। ২৪ বলে ৪০ করেন তিনি। স্যামসন বড় রান না পেলেও তাতে সমস্যা হয়নি। কারণ তারপরে শ্রেয়স আইয়ার ও হার্দিক পান্ডিয়া ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করতে থাকেন। আর উইকেট পড়েনি। তাঁরাই দলকে জয় এনে দেন। শেষ ওভারে ১৪ রান দরকার ছিল। দুটি ছক্কা মেরে চার বলেই সেই রান তুলে নেন কুংফু পান্ডিয়া। তিনি ২২ বলে ৪২ ও শ্রেয়স ৫ বলে ১২ করে অপরাজিত থাকেন।

এদিন টসে জিতে বিরাট কোহলি বল করার সিদ্ধান্ত নেন। দুটি দলই তিনটে করে পরিবর্তন করে। ভারতীয় দল থেকে বাদ যান রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ শামি ও মনীশ পাণ্ডে। তাঁদের জায়গায় দলে ঢোকেন যজুবেন্দ্র চাহাল, শার্দুল ঠাকুর ও শ্রেয়স আইয়ার। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া দলে ফিঞ্চ, স্টার্ক ও হ্যাজলউডের জায়গায় স্টয়নিস, স্যামস ও অ্যান্ড্রু টাই সুযোগ পান।
ওপেন করতে নেমে পাওয়ার প্লে-কে কাজে লাগান ওয়েড। দ্রুত রান তুলতে থাকেন তিনি। অন্য ওপেনার ডার্সি শর্ট রান পাননি। পাওয়ার প্লে-তেই নিজের হাফসেঞ্চুরি করেন ওয়েড। শেষ পর্যন্ত ৩২ বলে ৫৮ করে রান আউট হন তিনি। ১০টি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি।

দুই ওপেনার আউট হওয়ার পরে স্মিথের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েন ম্যাক্সওয়েল। স্মিথ ধরে খেললেও ম্যাক্সওয়েলকে ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিল। ১৩ বলে ২২ করে শার্দুলের শিকার হন তিনি। স্মিথ ৪৬ করলেও বিধ্বংসী ফর্মে দেখা যায়নি। হেনরিকস করেন ২৬। শেষ দিকে ৭ বলে ১৬ করে দলের রান ১৯৪-এ নিয়ে যান স্টয়নিস।
নটরাজন ছাড়া ভারতের বাকি চার বোলারই ব্যর্থ। চাহাল স্মিথকে আউট করলেও ৫১ রান দিয়েছেন। একমাত্র নটরাজনই ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। তিনি না থাকলে আরও বেশি রান করত অস্ট্রেলিয়া। যদিও সেই রান করতে কোনও সমস্যা হয়নি ভারতের। পরপর দু’ম্যাচে জিতে সিরিজ নিজেদের নামে করলেন বিরাটরা।

Previous articleঅবরোধে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা,কেন্দ্রে পৌঁছতেই পারলেন না বহু পরীক্ষার্থী, ফের পরীক্ষা নেবে পিএসসি, ঘোষণা রাজ্যের
Next articleরসুলপুরে পোস্টার নয়, বুকে শুভেন্দুর ছবি লাগিয়ে এবার সামনে এলেন দাদার অনুগামী’রা!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here