শাহ বাংলা ছাড়তেই , তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সহ-সভানেত্রী মৌমিতা বসু চক্রবর্তী

0
662

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাংলা সফরের পরই রাজ্য বিজেপিতে ভাঙন। শনিবার দল ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখালেন বিজেপি-র মহিলা মোর্চার রাজ্য সহ-সভানেত্রী মৌমিতা বসু চক্রবর্তী। পাশাপাশি কংগ্রেস বিধায়ক কাজী আবদুল রহিম তৃণমূলে যোগ দিলেন। 

এদিন সমাজের বিভিন্ন স্তের মানুষ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তার মধ্যে যেমন রয়েছে রাজনীতিবিদ, তেমনই রয়েছেন শিক্ষাবিদ, প্রাক্তন পুলিশকর্তাও।

তৃণমূল ভবনে তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রাজ্য শাসন না করে পরিষেবা দিচ্ছেন, সর্ব স্তরে ঐক্যবদ্ধ করে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন। বাংলাকে এক রাখার লড়াই করে যাচ্ছেন। তাই দেখে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ তাঁর ওপর ভরসা রাখছেন। পার্থ জানান, মৌমিতা অনেক দিন ধরেই ঠিক করে রেখেছিলেন তৃণমূলে যোগ দেবেন।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত চালাচ্ছে বিজেপি। এই কাজে সিপিএম তাদের সহযোগিতা করছে। এর প্রতিবাদে রাজ্যের মানুষ গর্জে উঠেছেন। বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরাও মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ভরসা রাখছেন। তাঁর ওপর আস্থা আছে বলেই তাঁরা দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। যতই ওঁরা ২০০র গল্প দিক, বাংলায় মাটি পাওয়া যাবে না।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সাংসদ সুখেন্দুশেকর রায়, নির্মল ঘোষ, ওমপ্রকাশ মিশ্র প্রমুখ।

কাজী আবদুল রহিম বাদুড়িয়ার বিধায়ক। এদিন তিনি বলেন, একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার শান্তি, সংস্কৃতি বজায় রাখতে পারেন। তিনিই বিজেপির হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে পারেন। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই হবে।

টুইটে তৃণমূল লিখেছে, ‘বিজেপির ঘৃণ্য রাজনীতি বনাম দিদির উন্নয়নের জোয়ার। বাংলা জানে কোনটা আপন। বিজেপির প্ররোচনা ও মিথ্যাচারের জায়গা নেই বাংলায়।’

তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ রাধিকারঞ্জন প্রামাণিকের পুত্র শান্তনু যোগ দিলেন। তিনি মেদিনীপুর আর্ট কলেজের অধ্যাপক। সিদ্ধার্থ মাহাতো

একদল প্রাক্তন পুলিশকর্তা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। প্রাক্তন আইজিপি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভুবনচন্দ্র বর্মন, দেবকুমার মুখোপাধ্যায়, দীপঙ্কর চক্রবর্তী, স্বাধীন সাহা, দীপক দাস, অর্ধেন্দু ভদ্রের মতো পুলিশের প্রাক্তন কর্তারা তৃণমূল নাম লিখিয়েছেন।

কালিয়াচক কলেজের অধ্যক্ষ নাজিমুল হক, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস কমিউনিকেশন বিভাগের দায়িত্বে থাকা রাজেশ দাস, সমাজসেবী অনিন্দিতা দাস, চিকি!সক শুভময় দাসও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

Previous articleট্রাভেলগ:শীতকালে ভ্রমণ প্রস্তুতি ও টিপস
Next articleমানবিক:করোনা সন্দেহে ভবঘুরে বৃদ্ধা পড়েছিল রাস্তায়, স্পর্শ করলনা কেউ,ছুটে এলো দুই সিভিক ভলান্টিয়ার হাসপাতালে পৌঁছে দিলেন বৃদ্ধাকে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here