দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আগামী মাসেই ফের রাফাল আসছে ভারতে। বায়ুসেনা সূত্রের খবর, আগামী ৫ নভেম্বর ৩টি ফরাসি যুদ্ধবিমান হরিয়ানার আম্বালা বিমানঘাঁটিতে এসে পৌঁছবে। সেগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার ‘গোল্ডেন অ্যারো (১৭ নম্বর) স্কোয়াড্রন’–এর অন্তর্ভুক্ত হবে।
পরবর্তী পর্যায়ে জানুয়ারি মাসে ৩টি, মার্চে ৩টি এবং এপ্রিলে ৭টি রাফাল যুদ্ধবিমান ফান্স থেকে ভারতে আসবে। গত ২৯ জুলাই প্রথম দফায় ৫টি রাফাল ভারতে এসে পৌঁছেছিল। অস্ত্রসজ্জার পালা শেষ হওয়ার পর গত ১০ সেপ্টেম্বর সেগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছে। এপ্রিল পর্যন্ত ২১টি এক আসন বিশিষ্ট যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি ৭টি দুই আসন বিশিষ্ট প্রশিক্ষণ রাফালও ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে চলে আসবে। যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে ১৮টিকে আম্বালায় রেখে ৩টিকে উত্তরবঙ্গের হাসিমারা বিমানঘাঁটিতে পাঠানো হবে বলে বায়ুসেনা সূত্রের খবর।
২০১৬ সালের চুক্তি অনুযায়ী ফান্স থেকে মোট ৩৬টি রাফাল বিমান কিনবে ভারত। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে সবগুলি বিমান ভারতে এসে পৌঁছনোর কথা। ভারতীয় বায়ুসেনার দু’টি রাফাল স্কোয়াড্রনের মধ্যে প্রথমটির ঠিকানা হরিয়ানার আম্বালা। দ্বিতীয়টি হবে আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটি। চতুর্থ প্রজন্মের ‘মিডিয়াম মাল্টি রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট’ রাফাল–এ রয়েছে ইওরোপের মিসাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা এমবিডিএ–র ‘ম্যাটিওর’ বিয়ন্ড ভিস্যুয়াল রেঞ্জ (দৃষ্টিশক্তির বাইরে আঘাত হানতে সক্ষম) এয়ার–টু–এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘স্কাল্প’ এবং ‘হ্যামার’ (হাইলি অ্যাজাইল অ্যান্ড ম্যানুভারেবল মিউনিশন এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ) ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশে উড়তে উড়তেই জ্বালানি ভরে নিতেও (রিফুয়েলিং) দক্ষ রাফাল। ইতিমধ্যে এই যুদ্ধবিমানগুলি ওড়ানোর প্রশিক্ষণ নিতে বায়ুসেনার পাইলটরা উড়ে গিয়েছেন ফ্রান্সে।
সেখানে মাঝ আকাশে যুদ্ধবিমানে জ্বালানি ভরা–সহ একাধিক কারিগরি বিদ্যার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
লাদাখে সীমান্ত উত্তেজনা এখনও চরমে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ইতিমধ্যেই বিপুল সেনা মোতায়েন করতে শুরু করেছে চীন। সীমান্ত থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে হোটান বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জে–২০ বিমান মোতায়েন করেছে বেজিং। মাঝেমধ্যে সীমান্ত লাগোয়া আকাশে চক্করও কাটছে। এরকম পরিস্থিতিতে আরও তিনটি রাফাল বায়ুসেনায় যোগ দেওয়া যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।