সেক্স র‌্যাকেটের মালকিন সোনু পাঞ্জাবনের ২৪ বছর জেল, ১২ বার বিক্রি হওয়া মেয়ে বিচার পেল অবশেষে

0
1480

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সোনু পাঞ্জাবনকে ২৪ বছর জেলের সাজা দিল দ্বারকা জেলা আদালত। সেক্স র‌্যাকেটের মালকিন সোনু ছাড়াও তার শাগরেগ সন্দীপ বেদওয়ালকে ২০ বছর কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে আদালত। দিল্লিতে সবচেয়ে বড় সেক্স র‌্যাকেটের মালিক সনু পাঞ্জাবন ওরফে গীতা অরোরা। শুধু সেক্স র‌্যাকেট চালানোই নয়, উত্তর ভারতের বিভিন্ন গ্যাংস্টারের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে সনুর বিরুদ্ধে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তার ৬৪,০০০ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

দিল্লি পুলিশ এক নাবালিকাকে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানোর অভিযোগে গ্রেফতার করে সোনুকে। আর সন্দীপ বেদওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপ বেদওয়াল একটি ১২ বছরের মেয়েকে অপহরণ করে। এর পরে মেয়েটিকে বিভিন্ন লোকের কাছে বারবার বিক্রি করা হয়। শেষে দেহ ব্যবসায় নামানোর জন্য কিনে নেয় সোনু পাঞ্জাবন। সাজা শোনাতে গিয়ে দ্বারকা জেলা আদালতের বিচারক প্রীতম সিংহ বলেন, সোনু সব সীমা অতিক্রম করেছে, কোনওভাবেই ক্ষমা করা যায় না। একজন মহিলা হয়েও একটি নাবালিকা মেয়ের উপরে এমন ভয়ঙ্কর শারীরিক নির্যাতন সে কীভাবে করাতে পারল? প্রশ্ন তোলেন বিচারক।

পাঁচ বছর আগে শুরু হয় এই মামলা। মেয়িটি আদালতে জানায় প্রেমের লোভ দেখিয়ে বেদওয়াল তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে। এর পরে মোট ১২ জনের কাছে বিক্রি করে। বারবার তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। এক সময়ে সে পালাতে সক্ষম হয়। ২০১৭ সালে দিল্লি পুলিশ সোনু ও বেদওয়ালকে গ্রেফতার করে।

বেআইনি ভাবে মানুষ পাচারের অপরাধে সোনুকে প্রথম ১৪ বছর কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। এর পরের ১০ বছর জেল খাটতে হবে অপ্রাপ্তবয়স্ককে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য করার জন্য। এছাড়াও দাসবৃত্তি করানো, নাবালিকা কেনা ও বিক্রি করা, বিষ খাওয়ানোর চেষ্টা করা, জোর করে আটকে রাখা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের জন্য দোষি সাব্যস্ত করা হয়েছে সোনুকে। ওই নাবালিকাকে ৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত।

সোনুর সহযোগী বেদওয়ালেরও ২০ বছর কারাবাসের পাশাপাশি ৬৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিস্তারিত রায়ে বলা হয়েছে, বেদওয়ালের ১০ বছরের জেল হয়েছে অপহরণ, নাবালিকাকে বিক্রি ও জোর করে দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য করা, দাসবৃত্তি করানোর জন্য। এছাড়াও ওই ১২ বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করার অপরাধে ১০ বছরের কারাবাস।

পুলিশ এমন প্রমাণও পায় যে, ওই নাবালিকা যাতে ভাল ভাবে দেহ ব্যবসা করতে পারে তার জন্য বিশেষ ইঞ্জেকশন দিত সোনু পাঞ্জাবন। মেয়েটিকে দেহ ব্যবসায় নামানোর পরে খরিদ্দার পিছু ১,৫০০ টাকা করে সে নিত।

Previous articleআজ দলের বৈঠকে দিদি, রয়েছে সংগঠনে রদবদলের সম্ভাবনাও, নতুন পদও তৈরি হতে পারে সে দিকে তাকিয়ে দল
Next articleগোটা রাজ্যে তৃণমূলে রদবদল, প্রবীণদের সরিয়ে নবীনদের বড় দায়িত্ব, জেলা সংগঠনে নতুন পদ হল ‘চেয়ারম্যান’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here