দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরেই নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছিলেন বাংলার বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। কয়েক দিন আগে নমুনা পাঠানো হয়েছিল কোভিড টেস্টের জন্য। আজ, শুক্রবার জানা গেছে, করোনা হয়েছে তাঁর।
একথা নিজেই টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছেন লকেট। লিখেছেন, “সামান্য জ্বর আছে, গত এক সপ্তাহ ধরেই নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছি আমি। এমনিতে সব ঠিক আছে, সময়মতো জানাব।”
I have tested postive for Covid19 this morning, having mild fever and was in self-isolation for the past one week. I will keep everyone posted. All is well.
— Locket Chatterjee (@me_locket) July 3, 2020
বিজেপি দলের কোনও সদস্যের করোনা ধরা পড়ল। এর আগে তৃণমূলের কয়েক জন নেতামন্ত্রী আক্রান্ত হয়েছেন এই সংক্রমণে। এমনকি মারাও গিয়েছেন তৃণমূল নেতা তমোনাশ ঘোষ।
গত মাসের ২২ তারিখ তমোনাশবাবুর শরীরে কোভিডের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সেদিনই তাঁকে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বলতে গেলে প্রায় শুরু থেকেই তাঁর তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। তাই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরই তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তমোনাশবাবুর রক্তে সুগার ছিল মাত্রাতিরিক্ত। তা ওষুধ দিয়ে কমানো হয়। পরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তাও কমানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ভেন্টিলেশনের থাকার ফলেও আবার গলায় সংক্রমণ ঘটে। তাই সে জন্যও চিকিৎসা চলতে থাকে। কিন্তু শেষ রক্ষা করা যায়নি।
দিন কয়েক আগে করোনা ধরা পড়েছিল সোদপুরের বিধায়ক নির্মল ঘোষের। অসুখ ধরা পড়ার আগে প্রশাসনিক বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও কোভিড সংক্রমিত হন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী তথা বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসুও।
বিজেপি বা অন্য কোনও দলের অন্দরে এখনও এমন কোনও খবর আসেনি করোনা সংক্রমণের। তবে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সঙ্গত কারণেই তাঁদের ঝুঁকি অনেক বেশি। কারণ জনসংযোগ করতে হয় তাঁদের। লকেট চট্টপাধ্যায় যদিও গত এক সপ্তাহ আইসোলেশনে রয়েছেন, তবু তার আগে তিনি কোথায় গেছিলেন, কাদের সঙ্গে মিশেছিলেন, তা ভাল করে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে দলের তরফেই।
লকেটের পরিবারের সদস্যদেরও কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে তাঁর করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ার পরেই।