দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লকডাউন পর্বে ভারতে বেড়েছে সোনার দাম। ফলে সোনার বিক্রি কমেছে। অনেকেই ইচ্ছামতো সোনার অলংকার কিনতে পারছেন না। কিন্তু যাঁরা ব্যাঙ্ক বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সোনা বন্ধক রাখতে চান, তাঁরা পাচ্ছেন বাড়তি সুবিধা। কারণ সোনার দাম বাড়ার ফলে একই পরিমাণ ধাতু বন্ধক দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে আরও বেশি অর্থ। পাশাপাশি গোল্ড লোনে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে সুদও।
গোল্ড লোন বা লোন এগেইনস্ট গোল্ড কাকে বলে? এক্ষেত্রে যিনি ঋণ চান, তিনি নিজের সোনার গয়না বন্ধক রাখেন ঋণদাতার কাছে। ওই সোনার যা মূল্য, তার একটা নির্দিষ্ট শতাংশ হারে তিনি ঋণ পান। মাসিক ইনস্টলমেন্টে ওই অর্থ শোধ করা যায়। তার সঙ্গে দিতে হয় সুদ। ঋণ শোধ হয়ে গেলে ফেরত পাওয়া যায় সোনার গয়না। কারও বিবাহ, চিকিৎসা বা সন্তানের পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য অনেকে গোল্ড লোন নেন। এছাড়া কোনও কারণে আচমকা বেশি অঙ্কের টাকা প্রয়োজন হলেও অনেকে সোনা বন্ধক দেন। আমেদের দেশে বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং অন্যান্য অর্থলগ্নী সংস্থা সোনা বন্ধক রেখে ঋণ দেয়।
সোনার দাম যত বাড়ে, গোল্ড লোন বাবদ তত বেশি অর্থ পাওয়া যায়। তাছাড়া সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট কমিয়ে দিয়েছে। গত ২০ বছরে রেপো রেট কখনই এত কমেনি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্যান্য ব্যাঙ্ককে যে হারে ঋণ দেয়, তাকে রেপো রেট বলে। রেপো রেট কমার ফলে ব্যাঙ্কগুলিও গোল্ড লোনের ওপরে সুদ কমিয়ে দিয়েছে ৪০ বেসিস পয়েন্ট। ফলে বন্ধকী সোনা ছাড়াতে এখন প্রয়োজন হবে কম অর্থ।
গত মার্চে লকডাউন শুরু হওয়ার পরে সোনা বন্ধক দিয়ে ঋণ পাওয়ার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে ১১.৩ শতাংশ। ২৪ মার্চ প্রতি গ্রাম সোনার দাম ছিল ২৮৭৫ টাকা। ১০ জুন সেই দাম বেড়ে হয়েছে ৩১৯৭ টাকা। এর অর্থ, ২২ ক্যারেট গোল্ড অর্থাৎ মার্চের শেষে আট গ্রাম সোনা বন্ধক রেখে ঋণ পাওয়া যেত ২৩ হাজার টাকা। এখন ওই পরিমাণ সোনার বিনিময়ে মিলছে ২৫,৫০০ টাকা। মুথুট ফিনান্স এবং মনপ্পুরম ফিনান্সের মতো গোল্ড লোন সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।